আগে এই বিদ্যালয়ে দুজন শিক্ষক থাকলেও, ট্রান্সফার হওয়ার মাধ্যমে একদম শিক্ষক অন্যত্র চলে গিয়েছেন। তাই দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষকের অভাবে ভুগছে এই বিদ্যালয়। মাঝে মধ্যে তো আবার গ্রুপ ডি এবং কম্পিউটার ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টকে দিয়েও মাঝে মধ্যে পড়ানো হচ্ছে পড়ুয়াদের। তাই স্থানীয় মানুষদের দাবি, এই বিদ্যালয়ে দ্রুত আর একজন শিক্ষক নিয়োগ করা হোক।
advertisement
গোটা বিষয়টি নিয়ে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া জানিয়েছেন,"এই বিদ্যালয়ের অন্যান্য কোনও সমস্যা নেই। তবে এই বিদ্যালয়ের একজন মাত্র শিক্ষক থাকার কারণে দুটি করে ক্লাস একসঙ্গে করে নিতে হচ্ছে। তাই সমস্যায় পড়ছে বিদ্যালয়ের পড়ুয়ার। দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার মাধ্যমে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থাও করবেন বলে জানান তিনি।"
তবে দিনের পর দিন চলতে থাকা এই সমস্যার কারণে বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ রীতিমতো অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। শিক্ষক না থাকার কারণে অনেক পড়ুয়া বিদ্যালয়মুখী হচ্ছে না।
এলাকার অধিকাংশ স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, "বিস্তীর্ণ এই এলাকার একমাত্র এই বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভরসা। তবে এই বিদ্যালয়ের মধ্যে একজন মাত্র শিক্ষক থাকার কারণে পড়াশোনার পর্ব প্রায় বন্ধ হতে চলেছে। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ না করা হলে বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ অথৈ জলে পড়বে। তখন আর কোনও ব্যবস্থা গ্রহণে কোন সুবিধা হবে না।"
আরও পড়ুন, রঙের পরশে কাটে অবসাদের অন্ধকার, জানেন কি দোল নিয়ে আসে একরাশ 'হ্যাপি হরমোন'..
আরও পড়ুন, দোলের রঙে ভয় নেই, এই সব গ্যাজেট সঙ্গে থাকলেই জমে যাবে হোলির পার্টি
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের কাছে এলাকার স্থানীয় মানুষদের দাবি, "দ্রুত যাতে এই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক নিয়োগ করা সম্ভব হয়।" ইতিমধ্যে গোটা বিষয়টা নিয়ে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বর্তমানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তবে হতাশা ছাড়া আর কিছুই পাননি তিনি। তাই তিনি বর্তমান সময়ে এভাবেই বিদ্যালয় চালাচ্ছেন।
Sarthak Pandit