ঘটনাটি হল বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছেন বধূ। তবে একলা নয় প্রেমিকের সঙ্গে। প্রেমিক আর অন্য কেউ নন, সম্পর্কে সেই বধূর কাকাশ্বশুর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, 'পলাতক ওই গৃহবধূ এবং তাঁর কাকাশ্বশুরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া ছিল। তবে কাকাশ্বশুরের রয়েছে চারটি সন্তান।' অন্যদিকে, ওই গৃহবধূরও রয়েছে চারটি সন্তান। গৃহবধূর স্বামী ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। তবে বর্তমানে তিনি বাড়িতেই ব্যবসার কাজ করছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: উর্দিধারী ডাক্তার? বাস দুর্ঘটনার পর পুলিশ সুপারের কীর্তিতে হতবাক মালদহবাসী! দেখলে চমকে যাবেন
স্বামীর বাইরে থাকার সেই সুযোগে কাকাশ্বশুর এবং ওই বধূর টানা প্রেম পর্ব শুরু হয়। প্রেমে ইতি টানতে এবং চার হাত এক করতে ওই গৃহবধূ তাঁর দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কাকাশ্বশুরের সঙ্গে পালিয়ে যান। তবে প্রাথমিক অবস্থায় বিষয়টি বুঝতে পারেননি ওই বধূর স্বামী। তিনি তাঁর স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে শেষমেশ মাথাভাঙা মহকুমা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ১০০ মিটার দূরত্বেও দেখা যাচ্ছে না কিছু, শীতের নাচন শেষে ঘন কুয়াশায় ঢেকে জলপাইগুড়ি-সহ ডুয়ার্স
তিনি জানান, কয়েক দিন আগে ডাক্তার দেখানোর নামে মাথাভাঙা শহরে যায় তাঁর স্ত্রী। কিন্তু সারাদিন পেরিয়ে গেলেও সে ফিরে আসে না। তখন তিনি খোঁজ খবর শুরু করেন। তবে কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁর স্ত্রীর। সেই জন্য তিনি মাথাভাঙা থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। অবশেষে তিনি জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী সম্পর্কে তাঁর এক কাকার সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন।
তবে এই গোটা ঘটনার জেরে ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন পলাতক ওই বধূর স্বামী। এছাড়া পলাতক কাকাশ্বশুরের চার সন্তানকে নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তাঁর স্ত্রীও। তবে গোটা ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে মাথাভাঙা থানার পুলিশ।
সার্থক পণ্ডিত