উদ্ধার হওয়া বার্মিজ পাইথন (Burmese Python) সাপের প্রজাতির মধ্যে বড় প্রজাতি একটি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি বৃহৎ অঞ্চলের স্থানীয় প্রজাতির সাপ এটি। এবং আইইউসিএন (IUCN) এর তালিকায় সবচেয়ে দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত করা রয়েছে এই সাপটিকে। ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই সাপটি পাইথন মোলুরাসের একটি উপ-প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। তবে বর্তমান সময়ে এটি স্বতন্ত্র একটি প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃত।
advertisement
এদিন সকালে আনুমানিক প্রায় সকাল ৮ টা নাগাদ পলাশগুড়ি অঞ্চলের গ্রামের একটি বাড়ির বাঁশের ঝোঁপ থাকে প্রচুর পাখির কিচির মিচির আওয়াজ শুনতে পাওয়ার যায়। আওয়াজ শুনে বাড়ির লোকেরা সেখানে গেলে তারা একটি বাঁশের ওপর পাইথন সাপটিকে দেখেন। তারপর তারা সর্প প্রেমী ও সাপ উদ্বারকারীদের ফোন করলে তারা এসে সাপটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
এই সাপ উদ্ধারের বিষয়ে উদ্ধারকারী অর্ধেন্দু বণিক জানান, "সকালের দিকে আচমকাই আমাদের কাছে খবর আসে কোচবিহারের পলাশগুড়ি এলাকায় বাঁশের ঝোপে একটি অজগর সাপ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। আমরা দ্রুত সেই জায়গায় পৌঁছনোর পর প্রচুর মানুষকে দেখতে পাই ভিড় করে তারা সেই সাপটিকে দেখছিলেন। তারপর আমরা তাদের কিছুটা দূরে সরিয়ে দেই। এবং আমাদের দলের আরেক ব্যক্তি সমাবেশ বিশ্বাস সেই গাছে উঠে সেই সাপটিকে উদ্ধার করেন। এবং পরবর্তীতে সেই সাপটিকে কোচবিহারের বনদফতরের আধিকারিকদের হতে তুলে দেওয়া হয়। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেন সাপটি সম্পূর্ন সুস্থ অবস্থায় রয়েছে এবং সাপটিকে কোচবিহারের কোন বনাঞ্চলে ছেড়ে দেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন: 'জীবনে কিস্যু করতে পারবে না!' শিক্ষিকাকে উচিত শিক্ষা দিল ভাইরাল ছাত্র! জানলে অবাক হবেন!
যার বাড়ি থেকে সাপটিকে উদ্ধার করা হয় সেই ব্যক্তি সুধান বন্ধা জানান, "আমরা সকালে বাড়ির বাঁশের ঝোঁপ থেকে পাখির কিচির মিচির আওয়াজ পাই। তখন আমার সকলে গিয়ে দেখি সেখানে একটি অজগর সাপ। আমরা প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তারপর সাপ উদ্ধারকারীদের খবর দেওয়া হয় এবং তারা এসে সাপটিকে নিয়ে যান।"
সার্থক পন্ডিত