পৌরসভার পৌরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানিয়েছেন, "বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে এই দুটি বিরিয়ানির দোকানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অভিযোগ আসছিল কোচবিহার পৌরসভার কাছে। সেই জন্য আমরা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতেই এই অভিযান চালাই। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে পর্যাপ্ত কাগজপত্র অভাব এবং খাবারের গুণগত মানের কারণে দোকান দুটিকে সম্পূর্ন বন্ধ করে দেওয়া হয়।" কোচবিহার পৌরসভার পৌরপ্রধান পরিদর্শনে গিয়ে তিনি দেখেন। দুটি বিরানির দোকানের সঠিক ট্রেড লাইসেন্স পর্যন্ত নেই।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দীপাবলির আগে নিষিদ্ধ শব্দবাজি সহ গ্রেফতার দুই ব্যক্তি!
পাশাপাশি দোকানের যে জায়গা রয়েছে। সেই জায়গা পার করে দিয়ে কোচবিহার পৌরসভার ড্রেন এবং সামনের রাস্তার উপরে দোকানের জিনিসপত্র রেখে রান্নার কাজ করা চলছিল দীর্ঘ দিন ধরেই। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে এলাকার থেকে পৌরসভার কাছে অভিযোগ যায় যে, 'রাত বাড়তেই সেই দোকানে প্রতিনিয়তই মদ্য পান করে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এর ফলে এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।'
আরও পড়ুনঃ ঘোকসাডাঙ্গা কালীপুজোর এবার বিশেষ আকর্ষণ মায়াপুরের ইসকন মন্দির
এই অভিযোগের ভিত্তিতেই কোচবিহার পৌরসভার পৌরপ্রধান শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ একটি বিশেষ দল নিয়ে দোকান দুটিতে পরিদর্শনে যান। এবং সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখেন। সঠিক কাগজপত্র না থাকা এবং বিরিয়ানিতে ব্যবহৃত মশলার গুণগত মান সহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে আপাতত দোকান দুটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোচবিহার পৌরসভার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে আগামীদিনেও এই ধরনের অভিযান চালানো হবে। যদি কোন খাবারের দোকানের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ থাকে এবং তা প্রমাণিত হয়। তবে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
Sarthak Pandit