তাই চার দশকের পুরনো পেশার পাশাপাশি বিকল্প আয়ের সন্ধানে খুলে বসেছেন চায়ের দোকান। নিজের পুরনো টেলারিংয়ের দোকানের সামনেই টেবিল পেতে গ্যাস ওভেনের চা তৈরি করতে ব্যস্ত তিনি। ভবানন্দ সরকার জানান, "একটা সময় নিত্য নতুন ডিজাইনের পোশাক তৈরি করতেন তিনি। সেসব পড়েই পুজোর মন্ডপে মন্ডপে ঘুরতেন মাথাভাঙ্গার বহু মানুষ। তবে রেডিমেড জামাকাপড়ের দাপটের কারণে, এক দশক ধরেই মন্দা দেখা দিয়েছে দর্জির এই পেশায়। শহরে প্রচুর শপিংমল হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মাছ ধরতে গিয়ে ট্রাক্টরের ধাক্কায় মর্মান্তিক মৃত্যু এক ব্যক্তি! এলাকায় শোকের ছায়া
আর মূলত সে কারণেই পোষাক বানানোর কাজ জুটতে চাইছে না। তাই লকডাউনের সময় এক প্রকার বাধ্য হয়েই বিকল্প আয়ের সন্ধানে চায়ের দোকান খুলতে হয়েছে।" তবে দীর্ঘদিনের এই দর্জির ব্যবসার কিছুটা হলেও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে জামা কাপড়ের বাজারে অনলাইনের কারণে।
আরও পড়ুনঃ রাত জেগে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ! কর্মব্যস্ততা তুঙ্গে প্রতিমা শিল্পীদের
বর্তমান সময়ে ভবানন্দ সরকারের মতন আরও অনেক দর্জির মুখেই একই রকম সুর। তবে পুজোর সময় বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে পান এই সমস্ত দর্জিরা। দুর্গা পুজো আসার আগে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেন এই সমস্ত দর্জিরা। তবে ভবিষ্যৎ সময়ে আদৌ তারা আর নিজের পুরনো অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন কিনা সেই বিষয়টি এখন প্রশ্ন চিহ্নের সম্মুখে।
Sarthak Pandit