চারিপাশে ধান জমি আর তারই মাঝখানে উজ্জ্বল কমলা ও হলুদ রঙের গাঁদা ফুল।শুধু আলু বা ধান চাষের উপর নির্ভরশীল না হয়ে, মেমারির চাষিরা এখন গাঁদা ফুল চাষে পেয়েছেন নতুন পথের সন্ধান। অল্প খরচে, কম সময়ে, অধিক লাভের এই নতুন কৌশল শুধু তাদের অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্যই দিচ্ছে না, বরং কৃষিক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: হাতে খোদাই নয়, এই আধুনিক পদ্ধতির বাড়ির নকশা তৈরি করেই লাভবান শিল্পীরা
আলু চাষের পর ধান চাষ করার আগে বেশ কিছুদিন ফাঁকা করে থাকে জমি কিন্তু সেই সময় জমি ফাঁকা না রেখে গাঁদা ফুলের চাষ করছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বেশ কয়েকজন চাষী। প্রায় ১৫ কাটা জমিতে চাষ করতে খরচা পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা। গাছে ফুল এলে তিন দিন অন্তর ফুল তুলতে পারবেন গাছ থেকে যা বাজারে প্রতি কিলো ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়।
এক চাষি জানেন, বৈশাখ মাসে প্রথম গাছ লাগিয়েছিলেন জমিতে। গাছে ফুল আসার পর থেকে প্রায় টানা দুই মাসের তিন দিন অন্তর এক এক দিনে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কেজি করে ফুল তুলেছি। বর্ষা না হলে এই পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। কারণ বাজারে শুকনো ফুল নেয় বর্ষার কারণে ফুল শুকনো যাচ্ছে না তাই ফুলের দামও কিছুটা কম পাওয়া যাচ্ছে। অন্যান্য সময় প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে বিক্রি হলেও এখন ১০০ টাকা করে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। তাই আলু চাষের পর ধান চাষের জন্য বসে না থেকে কম খরচে গাঁদা ফুল চাষ করলে মোটামুটি ভালোই লাভ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: সরকারি অধাকারিকের নাম করে ফোন! চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে হাজার হাজার টাকার প্রতারণার অভিযোগ
মেমারির চাষিদের এই সাফল্য প্রমাণ করে যে, প্রচলিত ফসলের বাইরেও বিকল্প চাষের সম্ভাবনা কতটা উজ্জ্বল। তাদের এই উদ্যোগ শুধু স্থানীয় চাষীদের জন্য অনুপ্রেরণা নয়, বরং রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের চাষীদের কাছেও এক নতুন দিশা দেখাতে পারে। গাঁদা ফুল চাষের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হচ্ছেন তারা।
সায়নী সরকার: