ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের ছোট পাতিনা এলাকার বাসিন্দা নীরদবরণ চৌধুরী। পেশাগত ভাবে বেশ কয়েকটা দশক তিনি সিআরপি-এর অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। অবসর নিয়েছেন প্রায় ১০ বছরের বেশি আগে। এরপর থেকে অবসর যাপনের জন্য বাড়িতেই শুরু হয় বিভিন্ন গাছ লাগান। আইআইটি খড়্গপুরের সহযোগিতা নিয়ে মাত্র কয়েকটি চা এবং কফির চারা গাছ এনে তিনি শুরু করেন তার লালন-পালন। সম্প্রতি ছোট বড় বেশ কয়েকটি গাছ রয়েছে কফির, রয়েছে ৬০ এর বেশি চায়ের গাছ। আর এই গাছ থেকে প্রতিবছর দু’বার বেশ ভাল ফলন পাচ্ছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ে দুর্গাপুজোয় আলাদা মাত্রা এনে দিলেন ‘ওঁরা’! ‘আগে কখনও দেখেনি’ বলছেন সবাই
পাহাড়ি এলাকায় শুধু নয় জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত এলাকায় সামান্য পাথুরে মাটিতে বিনা পরিচর্যায় বড় হয়ে ওঠে এই কফি গাছ। প্রয়োজন নেই তেমন সার ও ওষুধের। কেননা চারাগাছ লাগানোর পর তেমন কোনও দেখভাল বা পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। গাছের নিচে জল না জমতে দেওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজন হয় না সার-ওষুধের। খুব সামান্য খরচেই পাওয়া যায় চারা গাছ। আর এর থেকে প্রতিবছর দু’বার করে পাঁচ থেকে সাত কেজি অর্থাৎ বছরে ১৪ থেকে ১৫ কেজি ফলন পাওয়া যায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যার থেকে বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্য দিয়ে প্রায় তিন থেকে চার কেজি কফি পাউডার উৎপন্ন করা সম্ভব। বাজারে যার দাম রয়েছে ভালই। স্বাভাবিকভাবে খুব অল্প খরচে চারা গাছ কিনে এনে বাড়িতেই বেশ ভাল উপার্জন করা সম্ভব, যার দিশা দেখাচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত এই সিআরপি অফিসার।





