হলদিয়া মেচেদা রাজ্য সড়কের পাশে কোলসর পিয়াদা গ্রামগুলিতে যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই একের পর এক ছোট বড় নার্সারি। আর হরেক রকমের গাছ। যেখানে আম, জাম, কাঁঠাল-সহ বিদেশি ফলের চারা পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফুলের চারা এবং মরশুমি ফুলের চারা তৈরি করে বিক্রি করছেন নার্সারির মালিকেরা। প্রায় আড়াইশোটি ছোট-বড় নার্সারি নিয়ে সাজানো এই গ্রামটি এখন রাজ্য ও রাজ্যের বাইরেও চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। আর সেই ফুল ফলের চারা শুধু পূর্ব মেদিনীপুর বা রাজ্য নয়। ওড়িশা, বিহার, এমনকি উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড় পর্যন্ত রফতানি হচ্ছে নিয়মিত। আর তাতেই বদলে গিয়েছে চাষবাস নির্ভর এই গ্রামগুলির অর্থনীতি।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘জেলিফিশ’ দেখার কাজে ৪৮ হাজার টাকা বেতন! আকর্ষণীয় চাকরির সুযোগ, জানুন আবেদনের খুঁটিনাটি
কোলসরের প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষ সরাসরি বা পরোক্ষভাবে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। কেউ চারা তৈরি করেন, কেউ জলসেচ ও পরিচর্যার কাজ করেন, কেউ বা বিক্রির দায়িত্ব সামলান। ফুলের বাগানের যত্ন, গাছের পরিচর্যা থেকে শুরু করে ছাদবাগানের নকশা পর্যন্ত প্রত্যেকেই এই কাজের মাধ্যমে নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থাকে স্থিতিশীল করেছেন। এক নার্সারির মালিক বুদ্ধদেব বেরা জানিয়েছেন, “চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে এবছরই আমরা প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার বগেনভেলিয়া গাছের চারা তৈরি করেছি। আগামী বছরে এক থেকে দেড় লক্ষ চারা উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়েছি।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নার্সারিগুলির পাশাপাশি এখানে গড়ে উঠেছে ছাদবাগান পরামর্শ কেন্দ্রও। গাছ লাগান থেকে শুরু করে ফুল ফোটা পর্যন্ত গ্রাহকদের সহায়তা করা হয়। ফলে যারা আগে চাকরির খোঁজে হতাশ ছিলেন, তারাও এখন এই পেশার মাধ্যমেই আত্মনির্ভরতার পথ খুঁজে পেয়েছেন। কোলসর গ্রামের চারার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যসীমানা পেরিয়ে ভিন রাজ্যে। প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদের কাছে এই গ্রাম যেন হয়ে উঠেছে এক জীবন্ত উদ্যান। ফুটে উঠছে মানুষের স্বপ্ন, পরিশ্রম ও জীবিকার নতুন দিগন্ত। বদলে গেছে গ্রামের অর্থনীতি! চাষবাসের পর এই নার্সারির ব্যবসা গ্রামের বেকার যুবক-যুবতীদের পথ দেখিয়েছে।





