এই পুজোর (Kali Puja 2021) দায়িত্বে থাকা পুরোহিত মধুসূদন ব্যানার্জি জানিয়েছেন, "আনুমানিক তিন শতাব্দী প্রাচীন এই পুজো। এখানে মায়ের নিত্য পুজো করা হয়ে থাকে। এছাড়াও দীপান্বিতা অমাবস্যায় বিশেষ পূজা আয়োজন থাকে। তবে অষ্টমঙ্গলার দিন আরও ধুমধামে পুজো করা হয়ে থাকে। মহোৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই বছর করোনার কারণে মহোৎসবের আয়োজন থাকছে না, তবে মহাযজ্ঞ এবং পুজো আগের মতই রীতি মেনে ধুমধামের সঙ্গে করা হবে।"
advertisement
এখানকার এই কালীপুজোকে কেন্দ্র করে জড়িয়ে রয়েছে হেতমপুরের মহারানী পদ্মাসুন্দরীর (Padma Sundari) কাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা যায়, আনুমানিক তিনশ বছর আগে কোন এক সিদ্ধপুরুষ এখানে সাধনা করতেন। পরে হেতমপুরের মহারানী পদ্মাসুন্দরী স্বপ্নাদেশ পান এখানে মা দক্ষিণা কালীর অবস্থানের বিষয়ে। সেই স্বপ্নাদেশ পেয়ে তিনি এখানে আসেন এবং মায়ের পুজো করেন।
হেতমপুরের (Hetampur Rajbari) মহারানী পদ্মাসুন্দরী চেয়েছিলেন এখানে মায়ের একটি মন্দিরও তৈরি করে দিতে। কিন্তু পরে আবার তিনি স্বপ্নাদেশ পান মা কোনরকম আবরণ বা মন্দিরের মধ্যে থাকতে নারাজ। তারপর থেকে এখানে এখনো পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি মন্দির।
এর পাশাপাশি এই শ্রী দক্ষিণা কালীকে(Kali Puja 2021) কেন্দ্র করে যে সকল কাহিনী রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো, এখানকার মা অন্ধকারে থাকতে পছন্দ করেন। সেমত রাতে মায়ের কাছে কোনরকম আলোর ব্যবস্থা থাকে না। কয়েক শতাব্দী ধরে তিনি এখানে রাতের অন্ধকারেই বিরাজ করেন।