শিক্ষকদের তরফ থেকে এইভাবে বাড়িতে গিয়ে হানা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নানা কারন বেরিয়ে আসছে। দেখা যাচ্ছে অনেক পড়ুয়া তাদের অভিভাবকদের স্কুল সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে মোবাইলে গেম খেলে সময় কাটিয়ে দিচ্ছে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে। এই সকল ভুল ভেঙ্গে যাচ্ছে এই অভিযানে বলে দাবি করেছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।
আরও পড়ুন: ময়ূরাক্ষীতে জলে ডুবে একসঙ্গে মৃত্যু হল দুই সহকর্মীর
advertisement
স্কুল পড়ুয়াদের নিয়মিত স্কুলে আসার ব্যবস্থা করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বীরভূমের বোলপুর শিক্ষা নিকেতন আশ্রম বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা। এই সকল পড়ুয়ারা কেন স্কুলে নিয়মিত আসছে না তার খোঁজখবর নিতে বাড়ি বাড়ি যাওয়া শুরু করল স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে যারা স্কুলে আসছে না তাদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে এবং সেই তালিকা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে তারা কথা বলা শুরু করেছেন। পড়ুয়ারা কেন অনুপস্থিত রয়েছে তা অভিভাবকদের থেকে জানতে চাওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি তাদের স্কুলে পাঠানোর আবেদন জানাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যায় দিনভর কেমন দেখতে লাগছিল তারাপীঠ মন্দির, পাখির চোখে দেখুন
সাধারণত সরকারি স্কুলগুলিতে কেন পড়ুয়ারা আসছে না তা নিয়ে সেরকম কোনো হেলদোল দেখা যায় না অধিকাংশ স্কুলের ক্ষেত্রেই। সেই জায়গায় এই স্কুলের তরফ থেকে এমন পদক্ষেপ নেওয়ায় খুশি ওই স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। এই অভিযানে স্কুল কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করছেন বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধিরা। বোলপুর শিক্ষা নিকেতন আশ্রম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার দাস জানিয়েছেন, তিনি এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়ে আসার পরেই দেখতে পান উপস্থিতির হার খুব কম।
এরপরেই তিনি বেশ কয়েকজন অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন এবং তারপরই উপস্থিতির হার বাড়তে থাকে। তবে এরপরও যারা নিয়মিত স্কুল আসছে না তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আলোচনা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই এই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকজন স্কুল ছুট পড়ুয়া স্কুলে ফিরেছে। আশা করা হচ্ছে ,এই ভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল ছুট পড়ুয়ারা নতুন করে স্কুলে ফিরে আসবে এবং স্কুলে উপস্থিতির হার অনেক বৃদ্ধি পাবে।
Madhab Das