ইতিহাসবিদদের থেকে জানা গিয়েছে, সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগে কিম্বা অষ্টদশ শতাব্দীর প্রথমে ওই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা হয়। ঘনশ্যাম দাস নামে এক ব্যক্তি ওই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন বলে জানা যায়। ইতিহাসবিদদের দাবি, এই মন্দির জেলার অন্যতম প্রাচীন এবং সুন্দর আটচালা মন্দির। তবে এই মন্দিরে কোন বিগ্রহ নেই। কিন্তু কেন?
সেই প্রশ্নের অবশ্য স্পষ্ট উত্তর মেলে না। তবে ইতিহাসবিদদের একাংশের অনুমান, ওখানে কোন এক সময় বিগ্রহ হয় তো ছিল। কারণ যে সময় এই মন্দির স্থাপন করা হয়। সেই সময় মন্দিরে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার রীতি ছিল। পরবর্তীতে সেটি ভেঙে গিয়েছে কিম্বা কোনভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে অথবা চুরি হয়েছে। তবে পুরোটাই অনুমান করা হয়। আদৌও মন্দিরে কোন বিগ্রহ ছিল কি ছিল না সেই নিয়ে কোন স্পষ্ট ইতিহাস পাওয়া যায়নি।
advertisement
পুরাতত্ত্ব বিভাগেরও দাবি, এটি বীরভূম জেলার প্রাচীনতম আটচালা মন্দির। ফুলপাথরের মন্দির হওয়ায় এটি খুব বেশি ক্ষয়ে যায়নি। কিন্তু দীর্ঘদিন রক্ষীবিহীন অবস্থায় থাকায় বহু মানুষের অবাধ যাতায়াত ঘটেছে এখানে। এমনকি এই অবস্থায় থাকলে মন্দিরের গায়ে কারুকার্যগুলিও চুরি হয়ে যাওয়াও অসম্ভব নয়। এই নিয়ে ইতিহাসবিদ সুকুমার সিংহ বলেন, \”রাধা দামোদর মন্দির নিয়ে খুব বেশী ইতিহাস জানা যায় নি। তবে সপ্তদশ শতাব্দীর শেষে কিম্বা অষ্টদশ শতাব্দীর প্রথমে ওই মন্দির নির্মাণ করা হয়৷ এটিকে ঘুনসার মন্দিরও বলা হয়।
আরও পড়ুন: Siliguri News: সকালে বাজারে এসেই পিলে একেবারে চমকে গেল! তুলকালাম
যেহেতু ঘনশ্যাম দাস এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে মনে করা হয়। তাই তাঁর নাম থেকে এই এটি ঘুনসার মন্দির নামেও খ্যাত।\” তাঁর সংযোজন, \” ওই মন্দিরের কোন বিগ্রহ নেই৷ তবে অনুমান করা হয় কোন এক সময় ছিল। কিন্তু আদৌও মন্দিরে কোন বিগ্রহ ছিল কি ছিল না তার কোন প্রমাণ বা তথ্য নেই৷ কেবলমাত্র অনুমান করা হয়।\”
Subhadip Pal





