দম্পতির ছয় বছরের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই ওলিমার উপর শারীরিক নির্যাতন চলত। দু’বার বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে তাঁদের দাবি। যদিও কিছুদিন ধরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু সাতদিন আগে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান ওলিমা। তাঁর শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় লাভপুর থানায়।
advertisement
আরও পড়ুন: মহিলাকে কটূক্তি, প্রতিবাদ করতেই মাসতুতো ভাইদের এলোপাথাড়ি কোপ! আক্রান্ত একই পরিবারের তিনজন
বুধবার দুপুর প্রায় সাড়ে ১২টা নাগাদ বালিঘাট থেকে মহিলার কোমরের উপরের অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। কোমর থেকে নিচের সম্পূর্ণ অংশ পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া অংশে স্পষ্ট ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে বলেও খবর। পরিবারের অভিযোগ, ওলিমাকে খুন করে দেহ বালিঘাটে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে মৃতার পরিবার।
আরও পড়ুন: এত মেশিন, এত উন্নতি! তবুও ভরসা সেই পুরনো রীতিতেই! ভাল ফলনের আশায় মাঠে লক্ষ্মীপুজো করেন কৃষকরা
তাঁদের দাবি, দেহ উদ্ধার হলেও পরিবারকে সঠিকভাবে জানানো হয়নি মৃতদেহ কোথায় রয়েছে। যদিও সূত্রে জানা গেছে, দেহটি রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই লাভপুর থানার সামনে ভিড় জমান ওলিমার বাপের বাড়ির লোকজন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
