এই বিষয়ে সমস্ত ব্যবস্থা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে খতিয়ে দেখতে আসেন বোলপুর মহকুমাশাসক অনিমেষকান্তি মান্না-সহ প্রশাসনের অন্যান্য আধকারিকেরা। প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলা সফরে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বোলপুরের সিয়ান-মুলুক গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সিয়ান এলাকায় আনুমানিক প্রায় ১২ একর জমির উপরে ‘বাউল বিতানের’ শিলান্যাস করেন।
advertisement
বাউল বিতানের মধ্যে ২০ কটেজ, ১২ ঘর, সভাকক্ষ, মূল ভবনের বাইরে মুক্তমঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। প্রশাসনিক আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিতান তৈরির জন্য প্রায় কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। পুরো কাজের দায়িত্বে ছিল বীরভূম জেলা পরিষদ। তবে তার মাঝে বেশ কিছু সমস্যার কারণে কাজের গতি কমে আসে বলে সূত্রের খবর। কবে কাজ শেষ হবে সেটা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়। যদিও পরবর্তীতে আবার কাজ শুরু হয়।
প্রশাসনিক সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রথমে দফায় কটেজ ও ঘর মিলিয়ে মোট ১৫টি প্রস্তুত হয়। এরপরেই ২০২৪ সালের শেষের দিকে বাকি কাজ শেষ হয়। চলতি বছর এপ্রিল মাসে বাউল বিতান চালানোর জন্য পর্যটন দফতরকে হস্তান্তর করে বীরভূম জেলা পরিষদ। ইতিমধ্যেই দূর-দূরান্ত থেকে আগত পর্যটক থাকতে শুরু করেন। শুরু হয়েছে অনলাইন মাধ্যমে বুকিংও। বোলপুর মহকুমাশাসক বলেন, “যে উদ্দেশ্যে নিয়ে বাউল বিতান তৈরি করা হয়েছিল, তা আজ সফল হচ্ছে। বহু পর্যটক এতে উপকৃত হচ্ছেন।”






