তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর বোলপুর শান্তিনিকেতনের রাস্তায় ঘুরে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে মানুষের মধ্যে বার্তা দিচ্ছেন। আজ থেকে বছর দশ পিছিয়ে গেলে সেই সময় গ্রামেগঞ্জে এই পেশার জনপ্রিয়তা ছিল বহুগুণ। তবে বর্তমানে এই পেশা নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে বিশেষ করে শহরতলীর কাছে ধোঁয়াশাই মোরা এক অজানা গল্প। অনেকে জানেনই না কী এই বহুরূপী পেশা। যদিও আজ থেকে কয়েক বছর আগে বীরভূমের লাভপুরের বিষয়পুর গ্রামে এক সময় বহুরূপীদের বাস ছিল। গোটা গ্রামের প্রায় ৮০ শতাংশ পুরুষেরা এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
advertisement
মূলত ব্যাধ সম্প্রদায়ই এই পেশা নিজেদের জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য করতেন। আনুমানিক প্রায় শতবর্ষ ধরে ‘বহুরূপী’ পেশায় ছিলেন বিষয়পুর গ্রামের ব্যাধ সম্প্রদায়ের মানুষ। কিন্তু কালেরক্রমে সেই পেশা প্রায় বিলুপ্তির পথে। আগের মতন উপার্জন নেই সেই কারণেই এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বর্তমান যুবসমাজ।
বর্তমানে সেই এলাকার হাতেগোনা কয়েকটি পরিবারের মানুষ বহুরূপী সেজে দিনভর রাস্তায় ঘুরে ঘুরে অভিনয় করে এই পেশা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এর ফলস্বরূপ এই পেশার ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। আজ থেকে কয়েকবছর পরে আদতে কী এই পেশা বেঁচে থাকবে! এই অবস্থায় বহুরূপী শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে একটি সংস্থার উদ্যোগে শান্তিনিকেতনে হাজির হয়েছেন কর্নাটকের শিল্পী পরমেশ যোলাড। তিনি জানান বহু বছর থেকে পেশায় বহুরূপী শিল্পী, পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ধরনের ছবিও এঁকে থাকেন। বিভিন্ন সাজে তিনি শান্তিনিকেতনের রাস্তায় ঘুরছেন। এমনকী, লাভপুরের বিষয়পুর গ্রামেও গিয়েছেন তিনি। পথচলতি মানুষকে আনন্দ দিচ্ছেন নিজের শিল্পকর্ম এর মধ্যে দিয়ে।






