Shanidev: 'মহাপ্রলয়' আসছে...! ২০২৬-এ দুনিয়া কাঁপাবে শনিদেব, সাড়ে সাতি-ঢাইয়া ৩ রাশির জীবন নরক করে ছাড়বে, পদে পদে বিপদ

জ্যোতিষশাস্ত্রে, শনি দেবকে ন্যায়ের দেবতা এবং কর্মের জন্য দায়ী গ্রহ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। শনিদেব সর্বদা ব্যক্তিদের তাদের কর্ম অনুসারে পুরস্কৃত করেন। যারা শুভ কর্ম করেন তারা শুভ ফল পান, অন্যদিকে যারা অশুভ কর্ম করেন তারা শনির সাড়ে সাতি এবং ঢাইয়ার অশুভ প্রভাবের মুখোমুখি হন।

২০২৫ সাল শেষ হতে চলেছে, এবং নতুন বছর ২০২৬ শুরু হতে চলেছে। ২০২৬ সাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষ জানতে চাইবে যে তাদের রাশিচক্রের উপর শনির কী প্রভাব পড়ছে, কারণ শনিদেব সকল গ্রহের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত গ্রহ। আসুন জেনে নেওয়া যাক ২০২৬ সালে শনির সাড়ে সাতি এবং ঢাইয়ার দ্বারা কোন রাশির জাতকরা প্রভাবিত হবে এবং এর প্রতিকার কী৷

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে শনিদেব মীন রাশিতে গমন করেছিলেন। বৃহস্পতির রাশিতে শনির গোচরণের সঙ্গে সঙ্গে শনির সাড়ে সাতির প্রথম দশা মেষ রাশিতে শুরু হয়েছিল। শনির দ্বিতীয় দশা মীন রাশিতে শুরু হয়েছিল এবং শেষ অর্থাৎ শনির তৃতীয় দশা কুম্ভ রাশিতে শুরু হয়েছিল।

মেষ, মীন এবং কুম্ভ রাশিতে শনির সাড়ে সাতির প্রভাব ২০২৭ সাল পর্যন্ত একই থাকবে কারণ ২০২৬ সালে শনি মীন রাশিতে থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে, ২০২৬ সালের নতুন বছরে শনির সাড়ে সাতি এবং ঢাইয়ার প্রভাব এই রাশিগুলিতে থাকবে। যেখানে নতুন বছরে, সিংহ এবং ধনু রাশিতে শনির ঢাইয়ার প্রভাব থাকবে।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ২০২৬ সালে, মেষ, মীন এবং কুম্ভ রাশির অধীনে জন্মগ্রহণকারীরা পুরো বছর ধরে শনির সাড়ে সাতির প্রভাবে থাকবেন। ধনু এবং সিংহ রাশির অধীনে জন্মগ্রহণকারীরা শনির ঢাইয়া দ্বারা প্রভাবিত হতে থাকবেন। বিশ্বাস করা হয় যে এই সময়কালে, জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে, অপ্রত্যাশিত বাধা তৈরি হয় এবং মানসিক চাপ অনুভব করা যেতে পারে। তবে, সুখবর হল সঠিক ব্যবস্থা এবং ইতিবাচক চিন্তাভাবনার মাধ্যমে, এই সময়টি সহজ হয়ে যায়।

২০২৬ সালের নতুন বছরে মেষ রাশির জাতক জাতিকার জন্য সাড়ে সাতির প্রথম পর্যায় কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্যের পরীক্ষা হবে। মেষ রাশির জাতক জাতিকারা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কাজে বিলম্ব, আর্থিক চাপ এবং পারিবারিক টানাপোড়েনের মুখোমুখি হবেন, তবে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল শনি অবশ্যই কঠোর পরিশ্রমের প্রতিদান দেবেন।প্রতি শনিবার সর্ষের তেল দান করুন। শনি মন্দিরে অশ্বত্থ গাছের নীচে প্রদীপ জ্বালান। বজরং বান বা হনুমান চালিসা পড়ুন।অবশ্যই দরিদ্র, অভাবী এবং বয়স্কদের সেবা করুন।

সাড়ে সাতির দ্বিতীয় পর্ব ২০২৬ নতুন বছর, মীন রাশির জন্য পরিবর্তনের বছর। মীন রাশির জাতক জাতিকারা তাদের চাকরি ও কর্মক্ষেত্রে উত্থান-পতন, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে দায়িত্ব বৃদ্ধি এবং মানসিক ক্লান্তি অনুভব করবেন, তবে নতুন সুযোগও আসবে। শনিবার কালো উড়াদ দান করুন। শনিকে উৎসর্গ করা মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করুন। দরিদ্র ও অভাবীদের চপ্পল/বস্ত্র এবং শনির সঙ্গে সম্পর্কিত জিনিসপত্র দান করুন।

গত কয়েক বছর ধরে কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকাদের উপর সাড়ে সাতির শেষ পর্যায় চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নতুন বছর ২০২৬ স্বস্তির লক্ষণ বয়ে আনবে। আপনার থেমে থাকা কাজ এগিয়ে যাবে, আপনার আর্থিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করবে এবং আপনার আত্মবিশ্বাস আপনার ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে ফিরে আসবে। প্রতি শনিবারে তিল বা তেলের প্রদীপ জ্বালান। লোহার তৈরি কিছু ছোট জিনিস (চাবি ইত্যাদি) নিজের সঙ্গে রাখা ভাল। কালো কুকুরকে রুটি খাওয়ালে উপকার পাবেন।

২০২৬ সালের নতুন বছরে সিংহ এবং ধনু রাশির জন্য ভ্রমণ এবং ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে এবং আপনার সমস্ত প্রচেষ্টায় ধৈর্য ধরতে হবে। আপনি হঠাৎ আর্থিক বোঝার মুখোমুখি হতে পারেন এবং আপনার স্বাস্থ্যের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। আপনি আরও কঠোর পরিশ্রম করবেন এবং অনিশ্চয়তা বজায় থাকবে। অতিরিক্তভাবে, পারিবারিক বিষয়ে সংবেদনশীলতা থাকবে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আপনার সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

হনুমানজিকে সিঁদুর ও তেল নিবেদন করুন। শনিবার কালো তিল দান করুন এবং প্রতিদিন শনি স্তোত্র পাঠ করুন। গরীব ও অসহায় মানুষদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসুন। শনিবার নীল বা কালো পোশাক পরবেন না। বাবার কাছ থেকে আশীর্বাদ পাবেন। (Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ )