বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে যখন মেতে ওঠে সারা বাংলা তখন নদীর ও প্রান্ত থেকে ভেসে আসা ঢাকের আওয়াজে মন কেমন করে ওঠে গ্রামের কচিকাঁচাদের। চরম অভাবের তাড়নায় জোটে না নতুন জামা-কাপড়ের গন্ধ। গ্রামটির পূর্ব দিকে সংকোশ নদী। পশ্চিমেও সংকোশের শাখা নদী।উত্তরে প্রতিবেশী দেশ ভুটান। দক্ষিণে রয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বিশাল জঙ্গল।পূর্ব ও পশ্চিমের সংকোশ যেন সর্বগ্রাসী প্রলয় নিয়ে প্রায় গিলে ফেলেছে আস্ত গ্রামটিকে।গ্রামবাসীদের আশঙ্কা আগামী বর্ষায় আর টিকে থাকবে না অবশিষ্ট জনদপটুকু।
advertisement
আরও পড়ুন : অপু দুর্গার আম আঁটির ভেঁপু-ই এ বার এই মণ্ডপের পুজোর সানাই
একের পর এক বিনিদ্র রাত কাটিয়ে, সকাল হতেই ভিটেমাটি হারানোর চিন্তায় অবশ হয়ে পড়েন বাসিন্দারা।স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সংকোশ নদীর উপর হয়নি সেতু।নদী ভাঙন রুখতে গড়া হয়নি বাঁধ।ওই পরিস্থিতিতে নিরানন্দে ভরা মন নিয়ে তাঁরা মায়ের পুজো করতে চান না।
আরও পড়ুন : আশায় আউশগ্রামের ডোকরা শিল্পীরা, বিক্রি বাড়বে উৎসবের মরশুমে
এখন আর গ্রামের যতটুকু মাটি অবশিষ্ট আছে, তাতে চাষবাস হয় না।রুজির টানে বেশির ভাগ মানুষ নদী পেরিয়ে গিয়ে দিনমজুরের কাজ করেন।অথচ আগে ওই গ্রামের তিন ফসলি উর্বর জমিতে সোনার ফসল ফলত।গ্রামের বাসিন্দারা আক্ষেপের সুরে জানান, " সে সব সোনালি অতীতের কথা মনে পড়লে বুকটা হুহু করে ওঠে। কী ছিলাম আর এখন কোথায় আমরা।" আমরা যে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার পথে, সেদিকে কারওর নজর নেই।মনে শান্তি না থাকলে দুর্গার আরাধনা আসবে কী করে? তাই পুজো হয় না।