TRENDING:

Durga Puja 2022: নদীর প্রতি অভিমানে বিত্তিবাড়িতে এসে পৌঁছয় না দুর্গাপুজোর আগমনী বার্তা

Last Updated:

Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোর আগমনী বার্তা পৌঁছায়না আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লকের ভুটান সীমান্ত লাগোয়া দুর্গম বিত্তিবাড়িতে। নদীর প্রতি একরাশ অভিমান নিয়ে মা দুর্গার পুজোই করেন না এলাকাবাসীরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
অনন্যা দে,আলিপুরদুয়ার : দুর্গা পুজোর আগমনী বার্তা পৌঁছয় না আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লকের ভুটান সীমান্ত লাগোয়া দুর্গম বিত্তিবাড়িতে। নদীর প্রতি একরাশ অভিমান নিয়ে মা দুর্গার পুজোই করেন না তাঁরা। মাত্র দুই যুগে সংকোশ নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে কমপক্ষে তিন হাজার বিঘে অত্যন্ত উর্বর জমি। এক সময়ের সম্পন্ন গ্রামটি এখন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দিন গুনছে। পেটের দায়ে কার্যত যুবকশূন্য গ্রামটি। সবাই রোজগারের আশায় ভিটে ছেড়ে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছে।ফলে দুই যুগ ধরে আগমনীর আগমন হয় না বিত্তিবাড়িতে।
advertisement

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে যখন মেতে ওঠে সারা বাংলা তখন নদীর ও প্রান্ত থেকে ভেসে আসা ঢাকের আওয়াজে মন কেমন করে ওঠে গ্রামের কচিকাঁচাদের। চরম অভাবের তাড়নায় জোটে না নতুন জামা-কাপড়ের গন্ধ। গ্রামটির পূর্ব দিকে সংকোশ নদী। পশ্চিমেও সংকোশের শাখা নদী।উত্তরে প্রতিবেশী দেশ ভুটান। দক্ষিণে রয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বিশাল জঙ্গল।পূর্ব ও পশ্চিমের সংকোশ যেন সর্বগ্রাসী প্রলয় নিয়ে প্রায় গিলে ফেলেছে আস্ত গ্রামটিকে।গ্রামবাসীদের আশঙ্কা আগামী বর্ষায় আর টিকে থাকবে না অবশিষ্ট জনদপটুকু।

advertisement

আরও পড়ুন :  অপু দুর্গার আম আঁটির ভেঁপু-ই এ বার এই মণ্ডপের পুজোর সানাই

একের পর এক বিনিদ্র রাত কাটিয়ে, সকাল হতেই ভিটেমাটি হারানোর চিন্তায় অবশ হয়ে পড়েন বাসিন্দারা।স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সংকোশ নদীর উপর হয়নি সেতু।নদী ভাঙন রুখতে গড়া হয়নি বাঁধ।ওই পরিস্থিতিতে নিরানন্দে ভরা মন নিয়ে তাঁরা মায়ের পুজো করতে চান না।

advertisement

View More

আরও পড়ুন :  আশায় আউশগ্রামের ডোকরা শিল্পীরা, বিক্রি বাড়বে উৎসবের মরশুমে

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

এখন আর গ্রামের যতটুকু মাটি অবশিষ্ট আছে, তাতে চাষবাস হয় না।রুজির টানে বেশির ভাগ মানুষ নদী পেরিয়ে গিয়ে দিনমজুরের কাজ করেন।অথচ আগে ওই গ্রামের তিন ফসলি উর্বর জমিতে সোনার ফসল ফলত।গ্রামের বাসিন্দারা আক্ষেপের সুরে জানান, " সে সব সোনালি অতীতের কথা মনে পড়লে বুকটা হুহু করে ওঠে। কী ছিলাম আর এখন কোথায় আমরা।" আমরা যে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার পথে, সেদিকে কারওর নজর নেই।মনে শান্তি না থাকলে দুর্গার আরাধনা আসবে কী করে? তাই পুজো হয় না।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/আলিপুরদুয়ার/
Durga Puja 2022: নদীর প্রতি অভিমানে বিত্তিবাড়িতে এসে পৌঁছয় না দুর্গাপুজোর আগমনী বার্তা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল