পাশাপাশি গাছকেও ভালোবেসে পুজো দেন মঙ্গর জনজাতির মানুষেরা। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে রয়েছে এমনি বেশ কিছু জাতি-উপজাতির মানুষ। তাদের মধ্যে মঙ্গর জনজাতি অন্যতম। গাছেদের দেবতা ঞ্জানে পুজো দিয়ে পূর্বে অনেক ভেষজ গাছের সংরক্ষণ করতে পেরেছিলেন তারা। যদিও বর্তমানে ভেষজ গাছের পুজো সেভাবে হয় না। তার বদলে শস্য, অতিপরিচিত ফুল এবং ফলের গাছের পুজো হয়। ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় এই উপ-জনজাতির বসবাস।
advertisement
আরও পড়ুনঃ প্রতিভা খুঁজে বের করতে পুলিশের উদ্যোগে রাইনো কাপ ভলিবল টুর্নামেন্ট
বছরে এই সময় তাঁরা পালন করেন বরাই মিজোং উৎসব পালন করেন। শীতের সময় সবজি ও শস্যের চারা রোপণ করেন মঙ্গর সমাজের মানুষেরা। গাছেদের সংরক্ষণের বিষয়ে মঙ্গর সমাজের মানুষদের একত্রিথ করে পুজো দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন গাছের গুরুত্ব সম্পর্কে বোঝানো হয়। মঙ্গর জনজাতির পুরোহিত পুজো আরম্ভ করেন। এরপর জনজাতির মহিলারা তাদের সাংস্কৃতিক পোশাক পড়ে পুজোয় অংশ নেন। যঞ্জ অনুষ্ঠান করা হয়।
আরও পড়ুনঃ আবাস যোজনার তালিকায় নাম নেই! বিডিও অফিসে জমায়েত মহিলাদের
যেখানে আহুতি দেন পুরুষ,নারী নির্বিশেষে সকলে। নিজস্ব সংস্কৃতির নাচে গানে ভরপুর হয়ে উঠেছিল পাহাড়ি গ্রাম রাঙামাটি । সেখানে গিয়ে দেখা যায় পাঁচটি গাছের পুজো চলছে। পাঁচটি মাটির ঢিবি বানিয়ে তাতে গাছের চারা রোপণ পুজো করা হয়। পুজো করা গাছের উদ্দেশ্যে প্রসাদ দেওয়া হয়। যা পুজো শেষ হওয়ার পর সকলকে বিতরণ করা হয়।
Annanya Dey