কৃষকরা জানিয়েছেন ধান গাছ গুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে মাঝখান থেকে কেটে ফেলা হয়েছে। দিনরাত পরিশ্রম করে বাকি ধানগাছের রক্ষণাবেক্ষণ করছেন। কিন্তু তাতেও কতটা লাভ হবে?তাদের জানা নেই। কারণ জমিতে পোকার উপদ্রব বেড়েছে। যার ফলে ধানের গুনগত মান খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা কৃষকদের। এদিন ব্লক কৃষি আধিকারিক প্রমোদ মণ্ডল প্রতিটি কৃষকের জমিতে যান। জমির যে অংশে ধান চাষে ক্ষতি হয়েছে। সেখান থেকে ধানের চারা তুলে ফেলার পরামর্শ দেন তিনি। সেই স্থানে ডাল জাতীয় শস্যের চাষ করার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি আধিকারিক।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মাছ ধরতে গিয়ে হাতির পায়ের তলায়! প্রাণ হারালেন এক ব্যক্তি
প্রমোদ মণ্ডল জানান, ডাল এবং সর্ষে চাষ শুরু করলে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি ফসল ফলিয়ে লাভের মুখ দেখবেন কৃষকরা। তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি বীমার আওতায় এনে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। কৃষকদের চিন্তা দুর করতে তিনি সবসময় পরামর্শ দেবেন। সাধারণত আমন ধান বর্ষার প্রারম্ভে শুরু হয়। আমন ধানের জন্য আদর্শ জমি হচ্ছে মাঝারি নীচু অথবা একদম নীচু জমি। যে কোনও জমিতেই এই ধান চাষ করা যায়।
আরও পড়ুনঃ অন্ধকার দুনিয়া থেকে চা বাগানের শিশুদের আলোর পথ দেখাতে নিমেষের হাতিয়ার বই
তবে এঁটেল, দোঁ-আশ মাটিতে ফলন ভালো হয়। আমন ধানের রোয়া শুরু হয় শ্রাবণ মাসের দ্বিতীয় পক্ষ থেকে আশ্বিন মাঝের মাঝামাঝি পর্যন্ত। নিচু জমি যেখানে বর্ষার শুরুতেই এক থেকে দেড় ফুট জল দাঁড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল সেই সমস্ত অঞ্চলে অবশ্য আলোক সংবেদনশীল দীর্ঘমেয়াদি আমন ধানের বীজ মূল জমিতে সরাসরি বোনা হয় চৈত্র মাসের মাঝামাঝি থেকে। আমন কাটা শুরু হয় কার্তিক মাসের মাঝামাঝি, চলে পৌষ মাস পর্যন্ত।
Annanya Dey