তাঁদের অভিযোগ এখন তাঁরা প্রতিটি সাফারি বাবদ ৩০০ টাকা পেয়ে থাকেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে যা দিয়ে সংসার চালানো দায় হয়ে উঠেছে। এছাড়াও ২০১৬ সালের পর থেকে গাইড ভাতাও বাড়ানো হয়নি। ২০২০ ও ২১ সালে কোভিডের কারনে তাঁদের জীবীকা একেবারেই থমকে গিয়েছিল। আর প্রজনন মরসুমের কারনে বছরের তিন মাস জঙ্গল বন্ধ থাকার দরুন আদতে বছরের নয় মাস তাঁরা কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আটিয়াবাড়ি চা বাগানের সেতু ভেঙে বিপর্যয়! ক্ষতির মুখে এলাকার বাসিন্দারা
গাইড সংগঠনের তরফে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হ'তে চলা নতুন জঙ্গল পর্যটনের মরসুমের আগে যদি তাঁদের ভাতা বৃদ্ধি না করা হয়, তবে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের প্রত্যেকটি জিপ সাফারি রুট অবরুদ্ধ করে দিয়ে, জোরদার আন্দোলনে সামিল হবেন গাইডরা।
আরও পড়ুনঃ হাতির হামলা থেকে বাঁচতে ওল চাষ! অভিনব পন্থায় কালচিনির কৃষকরা
ওই সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, "আমরা তো কোনো অনৈতিক ও আহামরি দাবি করছি না।মাত্র তিনশো টাকায় বর্তমান সময়ে জীবন চলে? আমরা মাত্র একশো টাকা বাড়ানোর দাবি করছি। দাবি মানা না হলে অবরোধ আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো আমরা।" জলদাপাড়া বনবিভাগের ডিএফও দীপক এম ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও জানিয়েছেন, "গাইডদের দাবির বিষয়টি আমি জেনেছি।কিন্তু ওই ভাতা বৃদ্ধির ক্ষমতা তো আমার নেই।গোটাটাই সরকারি সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেরকাছে সুপারিশ পাঠাবো।"
Annanya Dey