রাস্তার বিভিন্ন অংশে লাল রঙ দিয়ে ক্রস মার্ক করে দেওয়া হয়। কোনো লিখিত নোটিশ না দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মৌখিকভাবে ভুটানের তরফে জানানো হয়, দেশের পক্ষ থেকে এলাকায় প্রাচীর তোলা হবে।রাস্তার পাশে যেখানে মার্ক করা হয়েছে সেদিক দিয়েই যাবে প্রাচীরটি।তাই মার্কিং করা অংশে যাদের ঘরবাড়ি আছে তা নিজেদের ভেঙে ফেলতে হবে। নাহলে ভুটানের পক্ষ থেকে তা ভেঙে দেওয়া হবে প্রাচীর তোলার সময়। কারণ মার্কিং করা জায়গাগুলি ভুটানের জমি। এই বিষয়টি শোনার পর ঘুম উড়েছে সারকি বর্মণ, মহঃ ইকবালদের।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নেই সেতু! অগত্যা ঝুঁকি নিয়েই জয়ন্তী নদী পারাপার!
কারণ এলাকায় অবস্থিত 20 টি বাড়ির কিছু অংশ ভুটানের জায়গায় পড়েছে।এমনিতে রাস্তাটি আনুমানিক ৭00 মিটার দীর্ঘ।চওড়া আনুমানিক ৭ মিটার। মার্কিং হিসেবে দেখতে হলে ভূটানে চার মিটারের বেশি অংশ চলে যাচ্ছে। চাইনিজ লাইনের চলাচলের রাস্তা আর থকছে না। চলাচল করতে হলে ব্যবহার করতে হবে প্রগতি টোলের সরু গলিটি। যা দিয়ে কমপক্ষে 20 মিনিট ঘুরে গেলে মিলবে জয়গাঁ শহরের রাস্তা।
আরও পড়ুনঃ কোচিং দিতে কালচিনিতে শুরু হল 'পুলিশ বন্ধু'-র পথ চলা
এলাকাবাসীরা জানান, \"৩0 বছর ধরে এলাকায় আছি। ঘর তৈরি করলাম। সেসময় ভুটানের পক্ষ থেকে মানা করা হল না কেন? এখন এভাবে আমাদের নিজেদের ঘর ভেঙে ফেলতে বলা হচ্ছে ভুটানের তরফে। আমরা মানছি না। ভুটানের মার্কিং অনুসারে আমার ঘরের সামনে দোকান ভাঙা পড়বে। ক্ষতিপূরণের কথা পর্যন্ত বলা হল না আমাদের। এলাকায় ৮0 জনের মতো রয়েছি। কোথায় গিয়ে দাঁড়াব আমরা।\" চাইনিজ লাইন এলাকার বিষয়ে কালচিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাধিপতি অরুনা পরিয়র জানান,\"ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিককে নিয়ে এলাকায় যাওয়া হবে।এবং জমির মাপ পুনরায় করা হবে।\"
Annanya Dey