প্রতিবছর যেখানে ভাইদের মঙ্গল কামনায় বোনেরা ফোঁটা দিতেন, সেখানে এই বছর সারা গ্রামজুড়ে সেই উৎসবের উচ্ছ্বাস নেই। ময়নাগুড়ির বেদগাড়া, চারেবাড়ি, ধূপগুড়ি, নাগরাকাটা সহ বন্যা বিধ্বস্ত এই অঞ্চলগুলিতে ভাইফোঁটা এখন বিলাসিতা। এমনটাই জানাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। কারণ ভাইফোঁটার আয়োজনের জন্য উঠোনই যে আর নেই! প্রতি বছর যে উঠোনে প্রদীপ জ্বালিয়ে ভাইফোঁটার আয়োজন হত, সেই উঠোন আজ বিলীন হয়ে গিয়েছে। ভেসে গিয়েছে ঘরবাড়ি, ভেঙে পড়েছে ছাউনি, মানুষ এখনও আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণশিবিরে বা তাঁবুর তলে।
advertisement
স্থানীয় কণিকা দেবী জানালেন, “ভাইফোঁটার দিন এলেও মন খারাপ। ঘরটাই যখন নেই, ফোঁটা দেব কোথায়?” পাশ থেকে যোগ করেন তাঁর প্রতিবেশী, “এই বছর ভাইয়েরা ফোঁটার চেয়ে বেশি ব্যস্ত ঘরের চাল বানাতে। আগে ঘর, তার পরে উৎসব।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মনের কোণে একরাশ চাপা কষ্ট স্পষ্ট। স্থানীয় প্রশাসন ও কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দুর্গত গ্রামগুলিতে ত্রাণসামগ্রী ও খাবার পাঠালেও, উৎসবের আনন্দ ফিরিয়ে আনার মতো পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি। বন্যার ক্ষত যেন এখনও তাজা, জীবনের প্রতিটি কোণায় তার ছাপ স্পষ্ট। তবুও আশা ছাড়ছেন না কেউ। গ্রামের প্রবীণরা বলছেন, “আগামী বছর আবার সবাই এক উঠোনে বসে ফোঁটা দেবে, আবার ফিরবে হাসি।”