তবে এবার এই সকল ক্যাটেগরি বাদ দিয়ে সকল বাগানের শ্রমিকদের ২০% হারে বোনাস প্রদানের দাবিতে সরব হলেন শ্রমিকরাই। তাদের কথায় মুল্যবৃদ্ধির সময় এ,বি,সি ক্যাটেগরিতে বিভাজন করলে উৎসবের আনন্দ মাটি হয়ে যাবে। আগামী ৩০ অগাষ্ট চা বাগানের বোনাস নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। এই বৈঠকটি ভার্চুয়াল হবে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকের আগেই চা বলয়ের শ্রমিকরা এক বেতনের দাবি জানিয়েছেন। শ্রমিকরা সোজাসুজি জানিয়ে দিয়েছে, 'আমাদের দাবি প্রতিটি চা বাগানের শ্রমিকদের ২০% বোনাস প্রদান করতে হবে। আমরা কোনো ক্যাটেগরি মানব না। এবার সবাইকে ২০% বোনাস প্রদান করতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সন্তানকে কোলে নিয়ে ঘরে ফিরল মা চিতা! স্বস্তির নিশ্বাস ভার্নোবাড়িতে
চা বাগানের এক কর্মী বিকাশ মাহালি জানান, 'বোনাস প্রদানের সময় এলেই বাগান কতৃপক্ষ বলে আমরা ক্ষতির সন্মুখীন। আমাদের লাভ হচ্ছে না, আমরা বেশি বোনাস প্রদান করতে পারবো না। প্রতিবছর উত্তরবঙ্গের ৩৫ টা মত চা বাগানকে রুগ্ন বাগান দেখিয়ে সেই বাগানের শ্রমিকদের কম বোনাস দেওয়া হয় । কিন্ত এবছর আমরা সবাইকে ২০% বোনাসের দাবি জানাবো ।'
আরও পড়ুনঃ ঘোড়ামারা নদীর ওপর নেই সেতু! সমস্যায় এলাকার বাসিন্দারা
শ্রমিকদের কথায় সকল শ্রমিকই আট ঘণ্টা কাজ করে, সকলের পরিশ্রমই একই। তাহলে কেন এই এ,বি,সি ক্যাটেগরির বিভাজন। এবছর ২০% বোনাসই লাগবে। চা বাগানের অপর এক কর্মী গণেশ লামা জানান, 'বোনাসের সময় কোনো বিভাজন মানা হবে না। শ্রম ব্যয় সকলের হচ্ছে। মালিকদের আমাদের দুঃখ, দুর্দশা বুঝতে হবে।'
Annanya Dey