Alipurduar: ঘোড়ামারা নদীর ওপর নেই সেতু! সমস্যায় এলাকার বাসিন্দারা
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
উৎপাদিত ফসল ঘুরপথে তুলতে যেতে হয় গোলায়। ঘোড়ামারা নদীর ওপর সেতু তৈরি না হওয়ায় দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধান হয়নি।
#আলিপুরদুয়ার : উৎপাদিত ফসল ঘুরপথে তুলতে যেতে হয় গোলায়। ঘোড়ামারা নদীর ওপর সেতু তৈরি না হওয়ায় দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধান হয়নি। এই বঞ্চনার গল্পটি শুরু হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু এই অবস্থার বদল হয়নি এতটুকুও। রাজ্যের প্রান্তিক ব্লক কুমারগ্রামের কামাখ্যাগুড়ি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম নারারথলি এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে ঘোড়ামারা নদী। নদীর দু পারে পাশাপাশি দুটি বুথ। বাসিন্দাদের অনেকেরই বাড়ি নদীর এক পাড়ে। তো আবাদি কৃষি জমি অপর পাড়ে। অন্যান্য সময় সামান্য সমস্যা থাকলেও বর্ষায় তা চরম আকার ধারণ করে।
নদীর জল বেড়ে ভেসে যায় অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো। সে সময় সমস্যা চরম আকার ধারণ করে। তখন জমিতে চাষ করতে কেউ কেউ নদী সাঁতরে পার হন। আবার কেউ বা কয়েক কিলোমিটার পথ ঘুরে জমিতে যান। জমি থেকে ফসল তুলে গোলায় আনতে হয় কয়েক কিলোমিটার পথ ঘুরে। এ ভাবেই চলছে ওই গ্রামের বাসিন্দাদের জীবনযাপন। গ্রামের ছোট ছোট পড়ুয়াদের কাঁধে করে নদী পার করে দেয় অভিভাবকরা। দীর্ঘদিন ধরে পাকা সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সন্তানকে কোলে নিয়ে ঘরে ফিরল মা চিতা! স্বস্তির নিশ্বাস ভার্নোবাড়িতে
কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি আজও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আলেন ঠাকুর এই বুথেরই বাসিন্দা । প্রধান হয়েও প্রতিবেশীদের সমস্যার সমাধান করতে পারেননি তিনি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।বর্তমানে নদীর ওপর বাঁশের একটি অস্থায়ী সেতু রয়েছে।তবে সেটির পরিস্থিতি বেহাল। যেকোনও দিন ভেঙে পড়তে পারে এই সেতুটি।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ স্কুলঘর নির্মাণে পুরনো সামগ্রী ব্যবহার! অভিযোগ করছেন অভিভাবকরা
একসঙ্গে অনেকে নয় বরং এক এক করে গ্রামবাসী এই সেতু দিয়ে চলাচল করে। যদিও গ্রামবাসীদের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। তিনি জানান, "গ্রামবাসীদের এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে অসুবিধা হচ্ছে। বিষয়টি আমি জানি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাকা সেতুর দাবি জানিয়েছি। হয়ত নদীর ওপর পাকা সেতু তৈরি হবে।"
advertisement
Annanya Dey
view commentsLocation :
First Published :
August 27, 2022 5:57 PM IST