এই সমস্যা সমাধানেই অচিরাচরিত শক্তির বিদ্যুৎ ব্যবহার করে চা শিল্পে আর্থিক সংকোচনের নতুন দিশা তৈরি করেছে আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি চা বাগান কর্তৃপক্ষ। প্রতিবারই অভিনব কিছু করার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায় মাঝেরডাবরি চা বাগানে। এই বাগানেই পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় মশাল জ্বালিয়ে চা পাতা তুলে। তা দিয়ে চা উৎপাদন করা হয়, যা মুন লাইট চা নামে পরিচিত। এই চা বাজারে এক হাজার টাকা কিলোদরে বিক্রি হচ্ছে। এই চা বাগানের হোয়াইট টি যথেষ্ট নাম রয়েছে বাজারে। দশ হাজার টাকা কিলো দরে বিক্রি হয় এই চা। যা সবচেয়ে দামী চা বলে পরিচিত।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দৈনিক মজুরি বৃদ্ধিতে খুশি নন চা বাগানের শ্রমিকরা! ফের অন্দোলনের হুমকি
বর্তমানে এই চা বাগানের ব্লু পিয়া টি বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। নরম চা পাতা ও অপরাজিতা ফুলের সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছে এই চা পাতা। এই চা মিলছে অনলাইনেও।দাম একই। আরও নতুন ধরনের চা পাতা তৈরির প্রয়াস চলছে বলে চা বাগান সূত্রে খবর।দুই বছর আগে প্রায় দু'কোটি টাকা খরচ করে বাগানের ফ্যাক্টরি চালানোর জন্য সোলার প্ল্যান্ট বসানো হয়েছিল ওই চা বাগানে। তাতে প্রতিমাসে প্রায় ছয় লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করা সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি চা বাগান কর্তৃপক্ষের।এই সোলার প্ল্যান্ট-এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ শূণ্য।একবার install করলে একইভাবে চলে।
আরও পড়ুনঃ জয়গাঁর দলসিংপাড়া চা বাগানের ঝোড়ার জলে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ সড়ক
৩৪২ কিলোভোল্ট সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে এক্সপোর্ট ইমপোর্ট মিটার বসানো হয়েছে ফ্যাক্টরি তে। সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করায় এক দিকে যেমন কমছে পরিবেশ দূষণ, অন্যদিকে বার্ষিক বিদ্যুৎ বিল বাঁচিয়ে বিদ্যুৎ বিক্রি করে যে বাড়তি টাকা রোজগার হচ্ছে, তা দিয়ে উন্নয়নকরা হচ্ছে চা বাগানের সার্বিক পরিকাঠামোর। আর্থিক মন্দা ও চা রপ্তানি প্রায় বন্ধ থাকায় একদিকে যখন ধুঁকছে পাহাড়-তরাই ও ডুয়ার্সের বেশির ভাগ চা বাগান, তখন মাঝেরডাবরি চা বাগানে তৈরি হয়েছে স্বনির্ভরতার নতুন দিশা।
মাঝেরডাবরি চা বাগানের ঠিকানা - GHV4+R5J, NH317, Buxa Forest, West Bengal- 736123
গুগল লোকেশন-
ফোন নম্বর-9434367859
Ananya Dey