২০২১ সালে যে দশটি হোয়াইট ব্যাক্ডকে ছাড়া হয়েছিল তারা প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছে বলে দাবি বনকর্তাদের। বর্তমানে তারা বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে দু'শো কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে অবস্থান করছে। ২০০২ সালে পথ চলা শুরু হ য় রাজ্যের একমাত্র শকুন প্রজনন কেন্দ্র রাজাভাতখাওয়াতে। বর্তমানে আবাসিক শকুনের সংখ্যা ১৪৬টি। যার মধ্যে হিমালয়ান গ্রিফন, লংবিল্ড, হোয়াইটব্যাক্ড ও স্লেনডারবিল্ড প্রজাতির শকুন রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কালচিনি ব্লকে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা, তৎপর প্রশাসন
প্রকৃতি প্রেমীদের মতে, পঁয়ত্রিশ বছর আগেও যেখানে দেশের আকাশে প্রায় চার কোটি শকুন ছিল। তা এখন কমে মাত্র কুড়ি হাজারে ঠেকেছে।গবাদি পশুদের ব্যথা উপশমের ডাইক্লোফেনাক, এ্যাসিটোফেনাক, নিমুসোলাইড ও কিটোপ্রফিনের মত ওষুধ প্রয়োগের কারনে ওই গবাদি পশুদের মৃতদেহ খাওয়ার দরুন কিডনি ও লিভার বিকল হয়ে প্রায় অবলুপ্তির পথে চলে গিয়েছে এই ঝাড়ুদার পাখিরা।
আরও পড়ুনঃ ঘুরে আসতে পারেন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেজে উঠছে ডুয়ার্সের অ্যামাজন সিকিয়াঝোরা
হালে দেশে ওই ওষুধ গুলি নিষিদ্ধ হওয়ার দরুন পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক । জানা যায় প্রতিবেশী দেশ ভুটান, নেপাল ও বাংলাদেশও একযোগে ওই ওষুধ গুলি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এফডি অপূর্ব সেন বলেন \"প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় শকুনরা অগ্রণী ভুমিকা পালন করে।তাই প্রায় হারিয়ে যেতে বসা এই পাখিদের ধাপে ধাপে প্রকৃতিতে ফেরানোর কাজ শুরু করা হয়েছে।আরও দশটি হোয়াইটব্যাক্ড আকাশে ওড়ার অপক্ষায় রয়েছে।\"
Annanya Dey