Alipurduar: কালচিনি ব্লকে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা, তৎপর প্রশাসন
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
ডেঙ্গুর পাশাপাশি ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে কালচিনি ব্লকে। ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়া রুখতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে কালচিনি ব্লক স্বাস্থ্য দফতর।
#আলিপুরদুয়ার : ডেঙ্গুর পাশাপাশি ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে কালচিনি ব্লকে।ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়া রুখতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে কালচিনি ব্লক স্বাস্থ্য দফতর। সচেতন করার কাজ চলছে প্রতিদিন।কালচিনি ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কালচিনি ব্লকে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা 5 জন। ডেঙ্গু আক্রান্ত 2 জন।বর্তমানে সকলে সুস্থ আছেন। কালচিনি ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সকলকে বলা হচ্ছে দিনে ও রাতে মশার হাত থেকে বাঁচতে হলে মশারি ব্যবহার করতে হবে।
ম্যালেরিয়া মশার লার্ভার জন্ম-
সাধারনত ম্যালেরিয়া মশার লার্ভা জন্মায় পরিস্কার ও অপরিস্কার জলে।ডেঙ্গু মশার জন্ম হয় এই দুই জলেই।তবে ডেঙ্গু মশার লার্ভা একস্থানে জমে থাকে।এদিকে ম্যালেরিয়ার লার্ভা জলে বয়ে যায়।রোগটি প্লাজমোডিয়াম বর্গের এককোষীয় পরজীবীর দ্বারা ঘটিত হয়। কেবল চার ধরনের প্লাজমোডিয়াম পরজীবী মানুষের মধ্যে সংক্রমন ঘটায়,এদের মধ্যে সবথেকে বেশি প্রভাবিত করে প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম এবং প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স। কিন্তু বাকি দুটি প্রজাতি প্লাজমোডিয়াম ওভেল, প্লাজমোডিয়াম ম্যালেরি মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। চিকিৎসকের মতে বৃষ্টিপ্রবণ ডুয়ার্স অঞ্চলে প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স প্রজাতির উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা যায়।
advertisement
কিভাবে ছড়ায় ম্যালেরিয়া-
স্ত্রী-অ্যানোফিলিস মশার কামড়ের মাধ্যমে সংক্রামিত হয়। ম্যালেরিয়ার পরজীবী লোহিত রক্তকণিকার মধ্যে বংশবৃদ্ধি করে, ফলে রোগীর শরীরে রক্তসল্পতার লক্ষণ দেখা যায়। চিকিৎসকের মতে ম্যালেরিয়ায় ভেক্টরকে রোখা সম্ভব। কারণ স্ত্রী মশাটি অপর একজনকে গিয়ে কামড়ালে তবেই ম্যালেরিয়া ছড়াবে।
advertisement
ম্যালেরিয়া মশার লার্ভার জন্ম-
সাধারনত ম্যালেরিয়া মশার লার্ভা জন্মায় পরিস্কার ও অপরিস্কার জলে।ডেঙ্গু মশার জন্ম হয় এই দুই জলেই।তবে ডেঙ্গু মশার লার্ভা একস্থানে জমে থাকে।এদিকে ম্যালেরিয়ার লার্ভা জলে বয়ে যায়।রোগটি প্লাজমোডিয়াম বর্গের এককোষীয় পরজীবীর দ্বারা ঘটিত হয়। কেবল চার ধরনের প্লাজমোডিয়াম পরজীবী মানুষের মধ্যে সংক্রমন ঘটায়,এদের মধ্যে সবথেকে বেশি প্রভাবিত করে প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম এবং প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স। কিন্তু বাকি দুটি প্রজাতি প্লাজমোডিয়াম ওভেল, প্লাজমোডিয়াম ম্যালেরি মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। চিকিৎসকের মতে বৃষ্টিপ্রবণ ডুয়ার্স অঞ্চলে প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স প্রজাতির উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা যায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ঘুরে আসতে পারেন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেজে উঠছে ডুয়ার্সের অ্যামাজন সিকিয়াঝোরা
ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণ-
নির্দিষ্ট সময় পরপর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা এই রোগের প্রধান লক্ষণ। জ্বর সাধারণত ১০৫-১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে। তবে নিয়মিত ও নির্দিষ্ট বিরতিতে জ্বর আসা-যাওয়া করে যেমন- একদিন পর পর জ্বর, তা তিন চার ঘণ্টা দীর্ঘ হওয়া এবং এরপর ঘাম দিয়ে জ্বর কমে যায়। জ্বর ছেড়ে গেলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়েও কমে যেতে পারে। এ ছাড়াও মাঝারি থেকে তীব্র কাঁপুনি বা শীত শীত অনুভব, গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা, মাথাব্যথা, অনিদ্রা, খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া কোষ্ঠকাঠিন্য, বমিবমি ভাব অথবা বমি, হজমে গোলযোগ, অত্যধিক ঘাম হওয়া, খিঁচুনি, পিপাসা লাগা, ক্লান্তি বা অবসাদ অনুভব করা, মাংসপেশি, তলপেটে ব্যথা অনুভব, প্লীহা ও যকৃত বড় হয়ে যাওয়াসহ লোহিত রক্তকণিকা ধ্বংস হওয়ার কারণে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।
advertisement
ম্যালেরিয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়-
মশার কামড় থেকে বাঁচতে মশারি, অ্যারোসল স্প্রে, মশার কয়েল, প্রতিরোধক ক্রিম ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ডুয়ার্স এলাকার আর্থসামাজিক পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চিকিৎসকেরা মশারি ব্যবহারের দিকে বেশি জোর দিয়েছেন। এ ছাড়া লম্বা হাতার জামাকাপড় পরা, সন্ধ্যার আগে ঘরের জানালা বন্ধ রাখা, দরজা-জানালায় নেট ব্যবহার করা, বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড় এবং জলাবদ্ধ জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার রাখা, কোথাও যেন জল জমে মশার বংশবিস্তার ঘটতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এবিষয়ে কালচিনির বিএমওএইচ ডাঃ সুভাষ কর্মকার জানান,\"ম্যালেরিয়ার ওষুধ রয়েছে,জ্বর বেশিদিন থাকলে,মাথা ব্যাথা,খাওয়ায় অরুচি এই সমস্যাগুলি সপ্তাহ ধরে থাকলে হাসপাতালে আসতে হবে।চিকিৎসা পরিষেবা তৎক্ষণাৎ দেওয়া হবে।নিজেদের সচেতন থাকতে হবে।স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া মশারি ব্যবহার করতে হবে।সন্ধ্যা হলে ঘরে ধূপধুনো দিতে হবে।\"
advertisement
Annanya Dey
view commentsLocation :
First Published :
July 18, 2022 7:45 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/আলিপুরদুয়ার/
Alipurduar: কালচিনি ব্লকে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা, তৎপর প্রশাসন