#আলিপুরদুয়ার: গরমের দাবদাহে নাজেহাল আলিপুরদুয়ার জেলাবাসী।সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে স্কুলের পড়ুয়ারা। এত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে তারা। গরমে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য কেমন রয়েছে? তা পরীক্ষা করছেন কালচিনির বিএমওএইচ ডাঃ সুভাষ কর্মকার। এমনকি মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের কেমন খাবার দেওয়া হচ্ছে তা চেখে দেখলেন তিনি। কালচিনি ব্লক থেকেই প্রথম সরকারের এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে। বিএমওএইচ নিজে পৌঁছে যাচ্ছেন ব্লকের প্রাথমিক বিদ্যালয়,আইসিডিএস সেন্টারগুলিতে। জানা যায়, কালচিনি বিডিও-র উদ্যোগে চলছে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ। গরমে ডিহাইড্রেশন-এর ফলে অনেক সময় অজ্ঞান হয়ে যাবার খবর এসেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি থেকে। অসুস্থ হয়ে অনেক পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। গরমের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে বিভিন্ন উপায় পড়ুয়াদের সামনাসামনি গিয়ে বললেন বিএমওএইচ।
বিএমওএইচ সুভাষ কর্মকার জানান, \"গরমে শ্বাসকষ্ট, ডিহাইড্রেশনের সমস্যা বেশি হচ্ছে। শরীরে জলের অভাব হলে এই সমস্যা হয়। তাই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত 4-5 লিটার জল পান করতে হবে। শুধু জল নয়,ডাবের জল,লেবু জল নাহলে নুন-চিনির জল পান করতে হবে। এগুলি শরীরের ডিহাইড্রেশন কমায়।শিশুদের ওআরএস জলে মিশিয়ে পান করলে শারীরিক সমস্যাগুলি লাঘব হবে।\"
আরও পড়ুনঃ বাসরা নদীর ভাঙন অব্যাহত, আতঙ্কে গ্রামবাসীরাডাঃ সুভাষ কর্মকার স্কুলের মিড ডে মিলের খাবার খেয়েও দেখেন। শিশুদের স্বাস্থ্যের কতটা খেয়াল রেখে তা তৈরি হচ্ছে তা খতিয়ে দেখেন তিনি। চিকিৎসক জানান,\"মিড ডে মিলের খাবার সঠিকভাবে তৈরি হচ্ছে। একটা সময় পর শিশুদের আহারের প্রয়োজনীয়তা হয়। স্কুলের পক্ষ থেকে সেকারণে মিড ডে মিল দেওয়া হয়।পুষ্টিকর খাবার তৈরি হচ্ছে মিড ডে মিল-এ।\"
আরও পড়ুনঃ বন মহোৎসব উপলক্ষে রাজাভাতখাওয়া প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্রে বিশেষ অনুষ্ঠানগরমে বেশি তেল মশলাযুক্ত খাবার খেতে বারণ করেছেন কালচিনির বিএমওএইচ সুভাষ কর্মকার। পাতলা সুতির পোশাক শিশুদের পড়ানোর নিদান দিয়েছেন বিএমওএইচ।
Annanya Deyনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Alipurduar, North Bengal