East Medinipur : মাতৃভাষার টানে স্কুলমুখী হো সম্প্রদায়ের বর্তমান প্রজন্ম
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- news18 bangla
Last Updated:
East Medinipur : পড়ুয়াদের পড়াশোনায় ফেরাতে উদ্যোগী হাইস্কুলের সহকারি শিক্ষক রূপেশ কুমার সামন্ত। তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক গুরুপদ পূর্তি এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী গুরুদাস সিরকা।
#পাঁশকুড়া: মাতৃভাষার বারাং চিতি-র(warang chiti) টানে স্কুলমুখী হয়েছেন হো সম্প্রদায়ের বর্তমান প্রজন্ম। ভাষাকেই হাতিয়ার করে হো সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন পাঁশকুড়ার কয়েকজন শিক্ষক। তৈরি করছেন হো ভাষার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সেখানে বারাং চিতি লিপিতে চলে প্রশিক্ষণ। পাঁশকুড়ার হাউর এলাকার আমদানে উপজাতি হো সম্প্রদায়ভুক্ত অন্তত ৮০ টি পরিবার বাস করেন। অধিকাংশরই পেশা দিনমজুরি।
হাউরের আমদানে স্থানীয় একটি ক্লাবের সহযোগিতায় চলছে 'হো হায়াম ওয়ার রাকাব মণ্ড' ভাষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র । ওই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের পড়াশোনায় ফেরাতে উদ্যোগী হাইস্কুলের সহকারি শিক্ষক রূপেশ কুমার সামন্ত। তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক গুরুপদ পূর্তি এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী গুরুদাস সিরকা।
আরও পড়ুন : দীর্ঘ চেষ্টায় উদ্ধার কৃষিজমিতে গর্তের ভিতরে আটকে পড়া হস্তিশাবক
করোনা মহামারি আসার পর হো সম্প্রদায়ে স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রাথমিক ভাবে তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের বোঝানো শুরু করেন। পরে হো সম্প্রদায়ের ভাষাকেই তাঁরা হাতিয়ার করেন। আর তাতেই এসেছে সাফল্য। সকলের মধ্যে এই ভাষা ছড়িয়ে দিতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলায় রূপেশদের উৎসাহ দেখে এগিয়ে আসেন কার্তিক বার্জ নামে স্থানীয় এক প্রশিক্ষক। তিনি বিনামূল্যে হো সম্প্রদায়ের ভাষার লিপি বারাং চিত্তিতে পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন ওই কেন্দ্রে। রূপেশ সামন্ত বলেন, “পাঁশকুড়া এলাকায় অন্তত দু'হাজার মানুষ হো সম্প্রদায় ভুক্ত। তাঁরা বারাং চিতিভাষায় কথা বলেন। অথচ এই ভাষার কোনও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। তাই ভাষা শিক্ষাকেন্দ্র চালু করে একদিকে যেমন স্কুলছুটের সংখ্যা কমানো গিয়েছে, তেমনই হারিয়ে যাওয়া বারাং চিতিলিপি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা গিয়েছে।”
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : দিনদুপুরে সাঙ্ঘাতিক ঘটনা! রোগী-সহ অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ল রাস্তার ধারের নয়ানজুলিতে
আরও পড়ুন : মিষ্টির দোকান থেকে কেনা চপে কামড় দিতে গিয়েই বেরিয়ে এল আরশোলা!
সপ্তাহে প্রতি রবিবার ক্লাস হয়। ভাষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বারাং চিতি ভাষার পাশাপাশি বাংলা এবং ইংরেজি ভাষারও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পড়ুয়াদের বোঝানো হয় স্কুলে যাওয়ার গুরুত্ব। হো সম্প্রদায়ভুক্ত ৭ থেকে ২০ বছর বয়সি অন্তত ৪০ জন পড়ুয়া ভাষাশিক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ছাত্রছাত্রী । স্থানীয় স্কুল শিক্ষকদের উদ্যোগে ভাষা প্রশিক্ষণ গড়ে তুলে বারাং চিতি ভাষার প্রশিক্ষণ দিয়ে হো সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন শিক্ষক রূপেশ সামন্ত-সহ অন্যান্য শিক্ষক।
advertisement
( প্রতিবেদন : সৈকত শী)
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷
Location :
First Published :
February 22, 2022 12:33 AM IST