শিলং : বাঙালি পর্যটকদের কাছে মেঘালয় খুবই পছন্দের গন্তব্য৷ প্রতি বছরই পর্যটনের মরশুমে মেঘালয়ের পাকদণ্ডীতে ভিড় জমান ভ্রমণপিপাসুরা৷ অসামান্য পরাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি এ বার পছন্দের মাপকাঠির তালিকায় যোগ হল নিষিদ্ধ এক আকর্ষণ৷
মেঘালয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে রাজ্য জুড়ে এ বার আইনসিদ্ধ করে দেওয়া হবে জুয়া ও অনলাইন বেটিংকে৷ তবে এটা শুধুই পর্যটকদের জন্য৷ স্থানীয় বাসিন্দারা দুটোর কোনওটাতেই অংশ নিতে পারবেন না৷ গত ২১ এপ্রিল মেঘালয়ের আইন এবং কর দফতরের মন্ত্রী জেমস পি কে সাংমা এই ঘোষণা করেছেন৷ এই মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ‘শিলং টাইমস’-এ৷
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেঘালয়কে অনলাইন গেমিং, অনলাইন বেটিং-এর কেন্দ্র বানাতে প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল গত বছর ফেব্রুয়ারিতে৷ রিপোর্ট অনুযায়ী, অতীতে গ্যাম্বলিং ও অনলাইন বেটিংপ্রেমীদের কাছে মেঘালয় ছিল খুবই পছন্দের জায়গা৷ মনে করা হচ্ছে, এই পরিবর্তনের ফলে কর্মসংস্থান হবে, আয়করের ক্ষেত্রে সুরাহা হবে৷ তাই ‘পারদর্শিতার খেলা’ এবং ‘সুযোগের খেলা’ হিসেবে পরিচিত গ্যাম্বলিং ও বেটিং-এর সুযোগ থাকবে অনলাইন ও অফলাইন, দু’ভাবেই৷
আরও পড়ুন : কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ ফুটছে, হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে মনে রাখুন এই নিয়মগুলি
তবে মন্ত্রী সংমা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন সরকার এ ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক হবেন মাত্র৷ এই দুই গেম চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সরকারের আর কোনও ভূমিকা থাকবে না৷ একইসঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘‘আইনসিদ্ধ হলেও গ্যাম্বলিং এবং গেমিং থাকবে শুধুমাত্র পর্যটকদের জন্যই৷ মেঘালয়বাসীরা এতে অংশ নিতে পারবেন না৷’’
আরও পড়ুন : তীব্র তাপপ্রবাহেই চলছে অফলাইন স্কুল, কী করে সুস্থ রাখবেন আপনার সন্তানকে?
আরও পড়ুন : স্বমেহন আর ফোর প্লেতেই লুকিয়ে দ্রুত বীর্যপাতের সমাধান? জানুন বিশেষজ্ঞের মত
এই অনলাইন এবং অফলাইন খেলায় অংশ নিতে গেলে পর্যটকদের ব্যাঙ্কে প্রয়োজনীয় ‘কেওয়াইসি’ বা ‘নো ইউর কাস্টমার’ জমা দিতে হবে৷ আইনসিদ্ধ করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে মেঘালয় হবে তৃতীয় রাজ্য এই তালিকায়৷ তাদের আগে সিকিম ও নাগাল্যান্ডও অনলাইন এবং অফলাইন গ্যাম্বলিং বেটিংকে আইনসিদ্ধ করেছে৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।