Children during heatwave : দু’ বছর অনলাইনের পর তীব্র তাপপ্রবাহেই চলছে অফলাইন স্কুল, কী করে সুস্থ রাখবেন আপনার সন্তানকে?

দু’ বছর অনলাইনে ক্লাস হওয়ার পর ফের অফলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে৷ নতুন করে পুরনো অভ্যাসে ফিরে যেতে তাদের কিছুটা হোঁচট খেতেই হচ্ছে৷ তার উপর তপ্ত বৈশাখের তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে৷ কীভাবে সুস্থ রাখবেন শিশুসন্তানকে? রইল টিপস৷

তাপপ্রবাহ থেকে ঝিমুনিভাব, এমনকি হিটস্ট্রোকেও আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা৷ তাই তাদের গরমে সুস্থ রাখার প্রথম ও শেষকথা হল পর্যাপ্ত জলপান৷ আপনার সন্তান যেন দিনে ২ থেকে ৩ লিটার জল অবশ্যই পান করে, সেটা দেখতে হবে৷ শুধু জল পান করতে না চাইলে দিন ডাবের জল, লেবুর শরবত, বেলপানা বা খসের শরবত৷

বাড়ির বাইরে বাচ্চাদের অযথা বেশি ক্ষণ রাখবেন না৷ খেলতে যাওয়ার ইচ্ছে হলে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত সময় এড়িয়ে চলুন৷ যদি একান্তই বাইরে খেলতে যেতে হয় তাহলে ভোরবেলা হতে পারে৷ অথবা বিকেল ৫ টার পর৷ এই দুই সময়ে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা নেই৷

বাচ্চাদের ত্বকে চড়া রোদ ও তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়ে অত্যন্ত৷ সানবার্ন, অ্যাকনে থেকে বাঁচাতে সন্তানের ত্বকে দিন সানস্ক্রিনের স্পর্শ৷ বাইরে গেলে সঙ্গে দিন জলের বোতল, ছাতা ও টুপি৷ রোদ থেকে বাঁচাতে পরান রোদচশমা৷

নিমন্ত্রণ, অনুষ্ঠান-যা-ই থাকুক না কেন, বাচ্চাদের পরনে যেন সব সময় থাকে হাল্কা রঙের সুতির ঢিলেঢালা পোশাক৷ স্কুলের পোশাকও সুতির তৈরি হলেই ভাল হয়৷

বাসি বা অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া খাবার বদহজমের কারণ৷ তাই এই সময়ে বাচ্চার ডায়েট ও স্কুলের টিফিনে রাখুন প্রচুর মরশুমি ফল ও সব্জি৷ এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে৷ গড়ে উঠবে ইমিউনিটি পাওয়ার৷

সাবধানতা সত্ত্বেও হিট স্ট্রোক হতে পারে৷ তাই বাচ্চার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঘাম, ক্লান্তি, পেশিতে টান, দুর্বলতা, ঝিমুনিভাব-সহ হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলেই সতর্ক হোন৷