পানীয় হিসেবে চায়ের (tea) সর্বজনীন আবেদন আসমুদ্রহিমাচল৷ প্রাণশক্তির যোগান দেওয়ার পাশাপাশি এই পানীয় দিনভর পরিশ্রমের পর মানসিক প্রশান্তিও দেয়৷ শুধু দিনের নির্দিষ্ট সময়ে আপনাকে বেছে নিতে হবে পছন্দসই ফ্লেভার৷ দিনের শুরুতে যদি কড়া চা মানানসই হয়, সারা দিন ধরে চনমনে রাখতে গ্রিন টি (green tea) জুড়িহীন৷ এছাড়াও আছে হার্বাল টি (herbal tea) বা ভেষজ চা৷
হার্বাল টি বা ভেষজ চা তৈরি হয় চা পাতার বিকল্প দিয়ে৷ ফলে চায়ের সবরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকেও এড়িয়ে চলা যায়৷ পুষ্টিমূল্যের দিক থেকেও প্রথম সারিতে থাকায় ভেষজ চা ইদানীং খুব জনপ্রিয়৷ ‘ডিটক্স টি’ (detox tea) হিসেবে এখন প্রচলিত একাধিক ফ্লেভার৷ সেগুলির মধ্যে অন্যতম হিবিসকাস টি (Hibiscus Tea)৷
আরও পড়ুন : দীপাবলির ভুরিভোজে বদহজমের ভয়? সঙ্গী হোক এই ঘরোয়া টোটকা
‘গুধল টি’ নামেও পরিচিত এই চা তৈরি হয় রোদে শুকিয়ে নেওয়া জবাফুলের পাপড়ি থেকে৷ ঘন ম্যাজেন্টা রঙের এই পানীয় একদিকে সুদিং এবং সুবাসিত৷ অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি উপাদানে ভর্তি এই চা সব টক্সিন শরীর থেকে বার করে দেয়৷ সবথেকে আকর্ষণীয় হল, এই চা গরম এবং ঠান্ডা, পান করা যায় দু’ভাবেই৷
অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের জন্য এই চা ডিটক্স উপাদান হিসেবে অতুলনীয়৷ মধুমেহ নিয়ন্ত্রণেও উপযোগী জবাফুলের চা৷ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, এই চায়ের প্রভাব মধুমেহ রোগে খুবই কার্যকর৷
আরও পড়ুন : ভূত চতুর্দশীর ‘১৪ শাক’ ঠিক কোনগুলো? জানুন তাদের অপরিসীম গুণাগুণ
গবেষকদের দাবি, রোজ তিন কাপ জবা চা পান করলে নিয়ন্ত্রণে থাকে উচ্চরক্তচাপ৷
জবাফুলের পাপড়ির নির্যাস মেশানো চা পান করলে প্রশমিত হয় বাতের ব্যথাও৷ ত্বকে জরার ছাপ পড়ে না৷ ফলে লুকিয়ে রাখা যায় বয়সের ছাপ৷
আরও পড়ুন : অস্বস্তিকর ব্রেস্ট অ্যাকনের পিছনে আছে একাধিক কারণ
ক্যালরি এবং ক্যাফেইন মুক্ত হওয়ায় এই চা উন্নত করে পরিপাক ক্রিয়া৷ অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি-এর প্রভাবে বশে থাকে মানসিক উদ্বেগও৷
ঋতুস্রাবকালীন যন্ত্রণা, পেশির টান থেকে উপশম দেয় জবাফুলের চা৷ শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ধরে রাখতে সাহায্য করা এই চা নিয়ন্ত্রণে রাখে ঘন ঘন মুড স্যুইংয়ের সমস্যাও৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Hibiscus Tea, Tea