Explained: অধিক মদ্যপানে Liver খারাপ হয় আরও কারণে! জানুন বাঁচার উপায়
- Published by:Debalina Datta
Last Updated:
Explained: সঠিক সময়ে লিভারের (Liver) সমস্যার সঠিক চিকিৎসা না করলে তার পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে।
#কলকাতা: অনেকেই লিভারের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। লিভারের সমস্যা কোনও নির্দিষ্ট বয়সে হয় এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। সদ্যোজাত শিশু থেকে বয়স্ক, অনেকের মধ্যেই লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। সঠিক জীবনযাপন না করলে এবং খাবারের উপর নিয়ন্ত্রণ না করলে লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। সঠিক সময়ে লিভারের সমস্যার সঠিক চিকিৎসা না করলে তার পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে। এমনকী মৃত্যু পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কী কী কারণে লিভারের সমস্যা দেখা দেয়?
লিভার সমস্যার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান। এমনকী অতি সামান্য পরিমাণ মদ্যপানও লিভারে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এর ফলে প্রভাব পড়ে গোটা শরীরে। অ্যালকোহলের কারণে লিভারে সমস্যা দেখা দিলে তাকে বলা হয় অ্যালকোহল রিলেটেড লিভার ডিজিজ ( alcohol-related liver disease) বা ARLD।
advertisement

advertisement
শুধু অ্যালকোহল নয়, অন্য খাবারের কারণেও লিভারে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে অ্যালকোহলের কারণে লিভারে সমস্যা দেখা দিলে মোট তিন ধরনের রোগ সৃষ্টি করে। প্রথমটির নাম অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (Alcoholic Fatty Liver Disease), অ্যালকোহলিক হেপাটাইটিস (Alcoholic Hepatitis) এবং অ্যালকোহলিক সিরোসিস (Alcoholic Cirrhosis)। মদ্যপানের কারণে এই তিন ধরনের লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে সব থেকে মারাত্মক হল লিভার সিরোসিস।
advertisement
লিভারের সমস্যার উপসর্গগুলি কী কী?
দুর্বলতা-
লিভার সমস্যার অন্যতম প্রধান উপসর্গ হল দুর্বলতা। লিভারের যে কোনও সমস্যা হলেই শরীরে দুর্বলতা আসবেই। আক্রান্ত রোগী যদি কোনও একটি স্থানে বসে থাকেন তাহলে তাঁর দুর্বলতা আসতে পারে। সবসময় শুয়ে থাকার প্রবণতা দেখা দেবে। এই সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে থাকতে পারে। সঠিক চিকিৎসা না করালে এই সমস্যার ফল মারাত্মক হতে পারে।
advertisement
অরুচি-
লিভারে সমস্যায় আক্রান্ত কোনও রোগীর খাবারে অরুচি আসবে। কোনও খাবার খেতে ইচ্ছে করবে না। অল্প খাবারে খেলে পেট ভর্তি মনে হতে পারে। এবং একারণে রোগী খাওয়া বন্ধ করে দিলে লিভার কোষ নষ্ট হতে শুরু করে।
বমি ভাব-
লিভারের সমস্যা দেখা দিলে আক্রান্ত রোগীর বমি ভাব আসতে পারে। এবং সব সময় বমি হওয়ার প্রবণতা থাকে। খাবার খাওয়ার পরেও অনেক সময় বমি হয় এবং অল্প কিছু খাবার খেলেও তা বেরিয়ে আসে। যেহেতু লিভারে সমস্যার কারণের জন্য হজম ঠিকমতো হয় না, সেকারণে এই সমস্যা দেখা দেয়।
advertisement
ওজন কমে যাওয়া-
লিভারে সমস্যার কারণে ওজন কমে যেতে পারে। এবং দ্রুত হারে ওজন হ্রাস পায়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ৭ দিনের মধ্যে ২,৩ কেজি ওজন কমে যেতে পারে। এছাড়াও এর থেকে আরও দ্রুত হারে ওজন কমলে বুঝতে হবে লিভারের কোনও মারাত্মক সমস্যা তৈরি হয়েছে।
শরীরে ব়্যাশ তৈরি হওয়া-
লিভারে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিলে শরীরে ব়্যাশ তৈরি হতে পারে। সাময়িক ব়্যাশ থাকতে পারে অথবা দীর্ঘকালীন সময়েও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
advertisement
কী কী কারণে লিভারে সমস্যা হতে পারে?
লিভারে সমস্যা যে শুধু মদ্যপান করলেই হয় এটা সম্পূর্ণ ভুল। বিভিন্ন কারণে লিভারে সমস্যা দেখা দিতে পারে। একাধিক কারণের জন্য লিভারে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
advertisement
প্রথমত- মদ্যপান লিভারের সমস্যার অন্যতম কারণ। অল্প মদ্যপান এবং অতিরিক্ত মদ্যপান লিভারে একাধিক সমস্যা তৈরি করতে পারে।
দ্বিতীয়ত- রাস্তার ধারে বা অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে তৈরি করা খাবার খেলে লিভারে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তৃতীয়ত- পরিচ্ছন্ন পানীয় জল না গ্রহণ করলে লিভারে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
লিভারের সমস্যা থেকে কী ভাবে মুক্তি পাওয়া যায়?
লো ফ্যাট খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে- অনেকে আছেন যাঁরা লো ফ্যাট খাবার গ্রহণ করেন। ফ্যাট কম থাকায় শরীরে মেদের আধিক্য যাতে না ঘটে তাই এই সিদ্ধান্ত নেন অনেকে। কিন্তু লো ফ্যাট খাবারে স্বাদ বজায় রাখতে প্রচুর শর্করা জাতীয় উপাদান ব্যবহার করা হয়। যা লিভারে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
মদ্যপান বন্ধ করা- মদ্যপান লিভারে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এমনকী লিভার সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেয়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ লিভার ভালো রাখতে মদ্যপান সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে।
জল ফুটিয়ে খেতে হবে- অপরিশ্রুত পানীয় জলের কারণে লিভারে সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা তাই পরামর্শ দেন বাইরের যে কোনও জল পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এমনকী, রাস্তার ধারে অনেক পানীয় জলের কল থাকে। সেই সব কলের জল সম্পূর্ণ নিরাপদ তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ওই কলের জল পান করা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন জল ফুটিয়ে তা ঠাণ্ডা করে খাওয়া দরকার।
অনিচ্ছা সত্বেও খাবার খাওয়া- খাবার ইচ্ছা না থাকলেও অনেকে খাবার গ্রহণ করেন। তাতে লাভের থেকে ক্ষতি বেশি হয়। এর ফলে লিভারের উপর অত্যধিক চাপ তৈরি হয়। তাই ক্ষুধা না থাকা পর্যন্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়।
সাপ্লিমেন্ট- অনেকে শরীরের গঠন সঠিক করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করেন। এমন কিছু সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করা দরকার যা লিভার ডিটক্সিফায়েড করে। ওমেগা থ্রি, অ্যামাইনো অ্যাসিড যুক্ত সাপ্লিমেন্ট লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ওষুধ গ্রহণ- বেশ কিছু ওষুধ লিভারে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। হয় তো শরীরে অন্য সমস্যা সমাধানে ওই ওষুধ কার্যকর হলেও লিভারে ক্ষতি করে। তাই কোনও কারণে ওষুধ সেবন করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন - Ind-Pak: শুধু শোয়েবই ভারতের জামাই নন, Indian ললনার প্রেমে হাবুডুবু ‘এই’ Pak ক্রিকেটাররাও
লিভার ঠিক রাখতে কী খাওয়া দরকার?
কাঁচা হলুদ - কাঁচা হলুদ লিভারের জন্য খুবই উপকারী। তাই কাঁচা হলুদ খাওয়া যেতে পারে। অনেকেই পরামর্শ দেন প্রতি দিন কাঁচা হলুদ খাওয়া হলে লিভার ভালো থাকে।
সবজি- লিভার সুস্থ রাখতে হলে প্রয়োজন সবুজ সবজি। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন সবজিতে বেশ কিছু উপাদান থাকে যা লিভার সুস্থ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। সেকারণে সবজি খাওয়া খুবই প্রয়োজন।
ফল - প্রতি দিন খাদ্য তালিকায় ফল রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন আপেল, লেবু ইত্যাদি লিভারের পক্ষে খুবই উপকারী। তাই নিয়মিত এই ফলগুলি খাওয়া দরকার।
কম মশলাযুক্ত খাবার- অতিরিক্ত মশলা খেলে শরীরে বিভিন্ন প্রভাব ফেলে। এমনকী লিভারের উপরও প্রভাব ফেলে। এতে হজমেরও অনেক সমস্যা তৈরি হয়। তাই অতিরিক্ত মশলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
view commentsLocation :
First Published :
October 22, 2021 10:49 PM IST