মুর্শিদাবাদ একসময় বাংলার রাজধানী ছিল। মুর্শিদকুলী খান-এর শাসনামলে মুঘল বাংলার রাজধানী মুকসুদাবাদ-এর নামানুসারে শহরটির নামকরণ করা হয়। মুর্শিদাবাদ একসময় বাংলা, বিহার ও ওড়িশা নিয়ে গঠিত মুঘল সুবেহ-এর রাজধানী ছিল। মুর্শিদাবাদে আছে একাধিক ঐতিহাসিক স্থান। হাজারদুয়ারী, কাঠগোলা বাগান, নশিপুর আখড়া, মতিঝিল। মুর্শিদাবাদ শহরে আছে ঐতিহাসিক সাতটি দর্শনীয় স্থান। এবং রয়েছে শশাঙ্কের রাজধানীতে কর্ণসুবর্ন। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের কীরিটেশ্বরীর মন্দির রয়েছে। যা সতীর ৫১পীঠ। রয়েছে ফরাক্কা ব্যারেজ। যে জল চলে গিয়েছে মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশের দিকে। মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম তাঁত ও মুর্শিদাবাদ সিল্ক বিখ্যাত।
বাংলায় শুরু হয়ে গিয়েছে SIR। এই প্রেক্ষিতে বাংলার BLO-দের জন্য কড়া হুঁশিয়ারি রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর বক্তব্য, BLO-রা যদি কোনও ‘দাদাদিদির’ কথা মতো চলেন, তাহলে তাঁদের পরিণতিও বিহারের BLO-দের মতো হবে। এসআইআর ইস্যু নিয়ে তৃণমূল নেতাদের আক্রমণের জবাবে সরাসরি পাল্টা আক্রমণে BJP নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “২০০২ সালে ‘ওনার ভোটার লিস্টে’ নাম ছিল—এবং CAA বা অন্যান্য কোনও ষড়যন্ত্রের গল্পগুলো মিথ্যাচার মাত্র”। শুভেন্দু আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে সতর্ক করে বলেন, “এসআইআর করাতে দেব না বলে যারা বলছিল, পিসি-ভাইপো—এরা দু’জনেই এমন কথা বলছে। এসআইআর চালু হবে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নামও বাদ যাবে।”
কলকাতা থেকে সড়কপথে মুর্শিদাবাদ শহরের দুরত্ব ২২০ কিলোমিটার। প্রতিদিন ধর্মতলা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যে কোনও বাসে করে মুর্শিদাবাদ যাতায়াত করা যায়।
শিয়ালদহ ও কলকাতা স্টেশন থেকে প্রতিদিন লালগোলা প্যাসেঞ্জার এবং দু তিনটি এক্সপ্রেস ট্রেনে করে যাওয়া আসা যায়।