মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার বাগনানে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। দিঘাগামী সরকারি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় প্রাইভেট কারের। তাতে ওই প্রাইভেট কারে থাকা তিন যুবকের মৃত্যু হয়। বাসের ধাক্কায় গাড়িটি এমন দুমড়ে মুচড়ে যায় যে দুর্ঘটনার পর গাড়ির ভেতর থেকে ওই যুবকদের বার করা সম্ভব হয়নি। প্রায় তিন-চার ঘণ্টা পর গ্যাস কাটার দিয়ে গাড়ির বিভিন্ন অংশ কেটে ওই তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূল ছাত্র নেতার দাদাগিরি! হেলমেট না পরায় পুলিশ বাইক আটকাতেই দলবল নিয়ে বসে পড়ল রাস্তায়
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গাড়িতে মোট ৪ জন ছিলেন। তাঁরা সকলেই মঙ্গলবার ভোরে মেদিনীপুর শহর থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। উল্টোদিকে কলকাতা থেকে দিঘাগামী সরকারি বাসটি তীব্র গতিতে ধেয়ে আসছিল। এই দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কারের চালক সহ ৩ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এই আরোহীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মৃত তিন যুবকের মধ্যএ প্রীতম চক্রবর্তীর (৩২) বাড়ি মেদিনীপুর শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের মির্জাবাজার এলাকায়। দীপক পন্ডিতের বাড়ি চন্দ্রকোনায়। অপর মৃত সঞ্জিত মাহাত লালগড়ের বাসিন্দা।
দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে পুলিশ জানিয়েছে, বাগনানের কাছে বাসের সামনের টায়ার ফেটে যায়। আর তাতেই গাড়ির উপর নিয়ন্ত্রণ হারান চালক। এর ফলেই সরকারি বাসটি ডিভাইডার টপকে ওই প্রাইভেট কারে ধাক্কা মারে। এই ঘটনায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে মেদিনীপুর শহরে।
শোভন দাস