তবে লড়াই থেকে পিছপা হয়নি সে। নিজের জেদ ও অধ্যাবসায় সঙ্গী করে বাবার মৃত্যুর শোককে মনের মধ্যে চেপে রেখে উচ্চমাধ্যমিকে ৫০০ মধ্যে ৪৩৫ পেয়েছে নারায়ণগড় প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকার এই মেয়ে।
আরও দেখুন
ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী সোমা। বাবা চাষবাস করতেন। পড়াশুনার পাশাপাশি ছোট থেকে মেয়েকে তালিম দিতেন গানেতেও।গানের গলাও বেশ তার। করোনা কালে যখন একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয় সোমা, তখনই তার বাবাকে হারায়। এরপর থেকেই মা- ই ভরসা ছিল সোমার কাছে। পড়াশোনায় সাহায্য করত তার জাড়তুতো দাদাও। নিজেকে প্রতিষ্ঠা করবার লড়াই শুরু হয়েছিল একাদশ শ্রেণী থেকে। এরপর নিজের জেদ নিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করেছে সে। পশ্চিম মেদিনীপুরে নারায়নগরের রাজা ঋষিকেশ লাহা উচ্চ শিক্ষানিকেতনের কলা বিভাগের ছাত্রী সোমা।
advertisement
স্কুল কিংবা টিউশনের শিক্ষকদের সহায়তায় আজ সফল প্রত্যন্ত অঞ্চলের সোমা রাউত। বড় হয়ে চায় শিক্ষকতা করতে। বাবার ইচ্ছে ছিল গান নিয়ে পড়াশোনা করুক তার মেয়ে।
পরিবারের বক্তব্য ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী সে। তবে সরকারি কিংবা বেসরকারি সহায়তা পেলে হয়ত সফলতার শিখরে পৌঁছতে পারবে সোমা।
Ranjan Chanda