তিনি বিদ্যালয়কে সাজিয়েছেন শিশুবান্ধব রূপে। সাজানো বাগান, অত্যাধুনিক ক্লাসরুম নজর কেড়েছে। শুধু তাই নয় ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ শচীন তেন্ডুলকর’কেও চিঠি লিখে বিদ্যালয়ে উন্নয়নকল্পে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা অনুদান নিয়ে এসেছেন। সেই টাকায় ছাত্রছাত্রীদের জন্য ক্লাসরুম তৈরি করেছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষাদানের পাশাপাশি সাহিত্যে অবদানের জন্য শিক্ষারত্ন পাচ্ছেন হলদিয়ার শিক্ষক
advertisement
নারায়ণগড় ব্লকের মকরামপুর এলাকায় অবস্থিত গোবিন্দপুর মকরামপুর স্বর্ণময়ী শাসমল শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার মহান্তি বিদ্যালয়ের মানোন্নয়নে আপাদমস্তক নিবেদিত প্রাণ, এই কথা বলছেন এলাকাবাসী থেকে শুরু করে সহকর্মী এবং প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীরা। এই সম্মান প্রসঙ্গে উত্তম কুমার মহান্তি বলেন, জানি না এই পুরস্কারের আমি যোগ্য কিনা। তবে, চেষ্টা করে গেছি বিদ্যালয়ের সার্বিক মানোন্নয়নের জন্য। সেই চেষ্টা আগামী দিনেও বজায় থাকবে।
এছাড়াও শিক্ষরত্ন সম্মান পাচ্ছেন ডেবরা থানার শহিদ ক্ষুদিরাম স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রূপা দাশগুপ্ত। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় শহিদ ক্ষুদিরাম স্মৃতি মহাবিদ্যালয়। ২০১৮ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন রূপা দাশগুপ্ত। তারপর থেকে শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, পরিবেশ প্রভৃতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই এগিয়ে চলা শুরু করে প্রত্যন্ত এলাকার এই কলেজ। এর আগে, ২০০১ সালে মেদিনীপুর শহরের রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ে প্রাণীবিদ্যা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন রূপা। পরে সেখানে অধ্যাপনা করার সঙ্গে সঙ্গেই প্রাণীবিদ্যাতে গবেষণা করেন তিনি। ২০১৮ সালে ডেবরা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেই প্রতি বছরই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের ফলাফলে নজর কাড়ছে প্রান্তিক এলাকার এই কলেজ। তাঁর এই সম্মানেআপ্লুত সহকর্মী ও ছাত্র-ছাত্রীরা। তাঁদের মতে, রুপা দাশগুপ্ত যথার্থ অর্থেই এই পুরস্কারের যোগ্য। অন্যদিকে শিক্ষারত্ন হিসেবে তাঁর নাম বিবেচিত হওয়ায় অধ্যাপক রূপা দাশগুপ্ত বলেন, দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল। কলেজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য।
এছাড়াও রাজ্যের যে ১৩-টি স্কুলকে এবার ‘সেরা বিদ্যালয়’ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে সেই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধীনস্থ রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবন। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত মেদিনীপুর শহরের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবন যে যথার্থ অর্থেই জেলা তথা রাজ্যের অন্যতম সেরা একটি স্কুল তা একবাক্যে স্বীকার করেন আপামর শিক্ষা সচেতন নাগরিকেরা। সেই স্কুলকে এবার রাজ্যের অন্যতম ‘সেরা স্কুল’ হিসেবে স্কুল শিক্ষা দফতর বেছে নেওয়ায় খুশি মেদিনীপুর তথা জেলাবাসী। মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি ‘নবান্ন’ থেকে এই সম্মান প্রদান করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রঞ্জন চন্দ