অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে থেকে বড় হয়েছেন তিনি। চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ার পর বাঁশির প্রতি ঝোঁক থাকায় জীবনটা শুরু করেছিলেন বাঁশির সুরে।গ্রামের গুরুর কাছ থেকে তালিম নিয়ে শুরু তাঁর নতুন জীবন। ছোট থেকে বাউলগান সহ একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাঁশির সুর তুলেছেন তিনি। রাত জেগে বিভিন্ন যাত্রাদলে নানান আবহ সৃষ্টি করেছেন লক্ষ্মীকান্ত বাবু।
advertisement
আরও পড়ুন- স্বনির্ভরতায় নয়া দিশা! নতুন করে স্বপ্ন দেখছে স্কুলছুট কিশোরীরা
বয়স যখন ২০ তখন থেকে শুরু তাঁর কর্মজীবন। কলকাতা, হাইরোড, বেলদার বিভিন্ন যাত্রাদলে বাঁশির বাজিয়েছেন। কিন্তু দিন যত গড়িয়েছে, বাঁশি বাজিয়ে অর্থ সংস্থান করতে পারেননি সংসারে। ফলত সংসার চালাতে বিভিন্ন হাটে হাটে গিয়ে কাঁচা সবজি বিক্রি করা শুরু করেন। আর পাশাপাশি দু-একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করতে থাকেন।
আরও পড়ুন- বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এ কী হল বৃদ্ধার! কাণ্ড দেখে আতঙ্কে এলাকাবাসি
বর্তমানে সেই লক্ষ্মীকান্ত আজ পঞ্চাশের। শুধু ব্লক কিংবা জেলা স্তর নয় রাজ্যস্তরের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ করেছেন তিনি, জিতেছেন পদকও। সরকারিভাবে শিল্পী ভাতাটুকুই পান। তাতে তাঁর সংসার খুব একটা ভাল চলে না। সকাল থেকেই বাঁশি নিয়ে বসেন রেওয়াজ করতে। কিন্তু মাসে হয়তো ডাক পান হাতে গোনা কয়েকটা অনুষ্ঠানে। এভাবেই চলে তাঁর দিন। কখনো নিকট আত্মীয়ের ভাইকে বাউল গানে আবহ দেন আবার কখনও আবার নাতনিদের বাঁশি শেখান ।
সকাল আর বিকেল হলেই হাটে হাটে বিক্রি করেন কাঁচা সবজি । লক্ষ্মীকান্ত পাইকারা চান তাঁকে সরকারিভাবে সাহায্য করা হোক, সরকারি অনুষ্ঠান গুলিতে তাঁকে বাঁশি বাজানোর জন্য ডাকা হোক এবং এই একই দাবি তাঁর স্ত্রীরও। যদি সরকারি কোনো সাহায্য সহযোগিতা পান তবে শিল্পীর বাঁশির সুরটা বেঁচে থাকবে। বয়সের ভার পাশাপাশি থাবা বসিয়েছে রোগও।ছেলে মেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে সংসার। সবটা মিলিয়ে যেন দারিদ্রতার মাঝেই চাপা পড়ছে শিল্পীর শিল্পসত্ত্বা।
Ranjan Chanda