এই দীপাবলীর আগে ঘরে আলপনা দিয়ে সাজিয়ে তোলা এবং প্রদীপ তেল দিয়ে তাকে সন্ধ্যেবেলায় জ্বালিয়ে আলোর রোশনাই ভরিয়ে তোলার যে ট্রাডিশনাল ভারতীয় ঐতিহ্য তা আজ নেই বললেই চলে। সেই জায়গায় দখল নিয়েছে ইলেকট্রিক টুনি বাল্ব ও লেজার লাইট। তাই সেই আলপনা এবং ট্র্যাডিশনাল ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য যাতে ছাত্র-ছাত্রী এবং কচিকাঁচাদের মধ্যে ভারতীয় সংস্কৃতির জানতে পারে তার জন্যই এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছিল এই স্কুল কর্তৃপক্ষ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আদিবাসী, শবরদের জমির দলিল জাল করে বিক্রি করার অভিযোগে সিট গঠন
তাতে অংশ নেয় সপ্তম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা। তারা ভিন্ন ভিন্ন ধরনের রঙিন আবির নিয়ে এই রঙিন আলপনায় সাজিয়ে তুলেছে স্কুল চত্বর। এরপর সেই রঙিন আলপনাতে প্রদীপ মোমবাতি জ্বালিয়ে দীপাবলীর আগে প্রাক দীপাবলীর সূচনা করে তারা। এতে যেমন শিশুদের মানসিক বিকাশ ঘটে তেমনি ভারতীয় ঐতিহ্যকে হাতে-কলমে পরিচিতি লাভ করা যায়। এদিন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সেই কৌশলী ফুটে উঠল ক্যামেরায়। এদিন এই স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষিকা সোমা চট্টরাজ বলেন ভারতীয় সংস্কৃতির এক এবং অন্যতম হলো দীপাবলীর আগে আলপনা দেওয়া। এখনকারের প্রজন্ম সেই আলপনা সম্পর্কে জ্ঞান তো নেই নেই সেই আলপনা দেওয়ার প্রবণতা।
আরও পড়ুনঃ কংক্রিটের সেতুর দাবিতে হুমগড়ে পথ অবরোধ ছাত্রছাত্রীদের
আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এই আমাদের পুরনো ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্যই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। যাতে তারা হাতে-কলমে পরিচিতি লাভ করতে পারে আর এতে উৎসাহের সঙ্গেই রঙ্গলির আয়োজনে নেমেছে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষিকার সঙ্গে সহমত ছাত্রীরা। তারা বলে আমরা প্রাকৃতিক উপায়ে এই রঙ্গলি করতে পেরে আমরা খুব খুশি। বিশেষ করে প্রকৃতি বান্ধব এই রঙ্গোলিতে যেমন প্রকৃতি দূষণ ঘটায় না তেমনি আনন্দ দেওয়া যায়। আমরা এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমাদের পুরনো ঐতিহ্যের সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরেছি যা আমাদের স্কুলের গর্ব।
Partha Mukherjee