পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড এলাকার জয়দেব দোলই ও রিঙ্কু দোলই এর একমাত্র মেয়ে তিথি দোলই । উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করার পর সে ব্যাঙ্গালোরে একটি নার্সিং কলেজে ভর্তি হয়। জানা যায় তিথি নার্সিং কলেজে ভর্তি হওয়ার সময় কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, তার পড়াশোনা সম্পন্ন করতে খরচ পড়বে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।ভর্তির সময় এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় তিথি এক লক্ষ টাকা জমা দিয়ে কলেজে ক্লাস শুরু করে। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করার কারণে তিথি ও তার বাবা, মা ভেবেছিল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পেলে তারা ব্যাংকের মাধ্যমে লোন পেয়ে যাবে। কিন্তু সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়ে, একাধিকবার ব্যাঙ্কে ঘুরেও লোন না পেয়ে মানসিক অবসাদে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছে তিথি। তিথির মা রিঙ্কু দোলই বলেন, নবান্ন থেকে শুরু করে বিকাশ ভবন একাধিক বার আমার মেয়েটা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য গিয়েছে, এমনকি ব্যাঙ্কেও গিয়েছি, কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বারবার ফিরিয়ে দিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন - ২০১৯-এর পর বিজেপি, ’২১-এ ফের তৃণমূলে, রাজনীতিতে বর্ণময় চরিত্র অনুব্রতর ভাই সুমিত
আরও পড়ুন - মেগা অভিযানের প্রস্তুতি ? ১৬০ জনকে ১০টি দলে ভাগ করে ইডি আসছে রাজ্যে, থাকবে না ফাঁক
অন্যদিকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে পরীক্ষার আগে তাকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দিতে হবে, তা না হলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। আর কলেজের সেই নিয়ম অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করার অর্থ সংগ্রহ করতে পারেনি তারা।ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ফিরিয়ে দিয়েছে তিথিকে, তাই মানসিক অবসাদে তিথি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে পরিবারের দাবি। রবিবার রাতে তিথি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পরিবারের সদস্যরা, দ্রুত তাকে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। শারীরিক অবস্থার অবনতী হওয়ায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় তিথিকে। এলাকার মানুষের দাবি যেখানে সরকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করেছে সেখানে কেন ছাত্রছাত্রীরা স্টুডেন্ট কের্ডিট কার্ড পাচ্ছে না, উঠছে প্রশ্ন।