বয়স এখনও ১৮ হয়নি৷ তবুও পরিবারের লোক বিয়ে ঠিক করেছিল। বাড়ির লোকজন বিয়ের জন্য জোর করায় সরাসরি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছে গিয়ে সবকথা জানাল ছাত্রী। ব্যস! ওইটুকুই৷ এরপরে স্কুল এবং প্রশাসনের উদ্যোগে বন্ধ হল সেই বিয়ে৷
আরও পড়ুন: কখন-কীভাবে টাকার নোটে এল মহাত্মা গান্ধির ছবি? জানেন সেই ছবি তোলা হয়েছিল এই কলকাতাতেই!
advertisement
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্যোগে প্রশাসনে খবর যাওয়ার পর পঞ্চায়েত প্রশাসনের তরফে প্রধান, উপপ্রধান মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে বিয়ে আটকায়। বিয়ে বন্ধ করার পাশাপাশি, ওই ছাত্রীর পরিবার-পরিজনকে সমাজ সচেতনতার বার্তা দিলেন আধিকারিকেরা। পরিবারের থেকে মুচলেকাও লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন যা মোবাইল ফোন চুরি যায়, তার ৫০% এরই কোনও হদিস পায় না পুলিশ! কারণ কী জানেন?
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণার ঘটনা। নাবালিকা ওই ছাত্রীর দূরদর্শিতাতেই এই বিয়ে আটকানো সম্ভব হয়েছে বলে জানাচ্ছেন প্রশাসনিক কর্তারা। জানা গিয়েছে, মেয়েটি বর্তমানে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। প্রসঙ্গত এর আগে নিজের বিয়ে আটকে সাহসিকতার পুরস্কার পেয়েছিল কন্যাশ্রীরা। তবে এবার গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিকেরা এলাকায় গিয়ে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেন সকলের কাছে। দুর্গাপূজার আগে, কন্যাশ্রীর এই চিন্তা ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।
Ranjan Chanda