পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় থেকে একসময় বিধানসভায় নির্বাচিত হতেন রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। কিন্তু ২০১৬ এর বিধানসভা ভোটে তিনি সেখানে হেরে যান। এরপর থেকে ধীরে ধীরে জঙ্গলমহলের এই কেন্দ্রটি তৃণমূলের গড়ে পরিণত হয়। তবে এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেখানেই বড় ধাক্কা খেলো শাসক দল। বিজেপিতে যোগ দেওয়া তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা প্রত্যেকেই সেখানকার মকরামপুর পঞ্চায়েত এলাকার বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই দল পরিবর্তন। যদিও এই নেতাকর্মীদের দল পরিবর্তনকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পেয়েই বিজেপিতে যোগ।
advertisement
বৃহস্পতিবার সাতসকালে নারায়ণগড় ব্লকের মকরামপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি নাকফুড়ি মুর্মু, পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ সুকমলা বেরা সহ দুশো তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন। বেলদায় হয় এই দল বদল পর্ব। বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিদায়ী পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ সুকমলা বেরা বলেন, তৃণমূলে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মকরামপুর পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বর্তমান অঞ্চল সভাপতি লক্ষ্মী শিট ও প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি নাকফুড়ি মুর্মুর মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে এই বিবাদ এর জেরেই একপ্রকার নিষ্ক্রিয় ছিলেন নাকফুড়ি। এই দল বদলের জেরে নারায়ণগড়ে পঞ্চায়েত ভোটে ভালো ফলের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। তবে তৃণমূলের দাবি, দলে থেকে বিজেপির হয়ে কাজ করছিলেন এই নেতাকর্মীরা। তাই তাঁদের দলবদলে ক্ষতির থেকে উপকার হবে বেশি।
রঞ্জন চন্দ





