করোনার সময়ও নিজের জীবনকে বাজি রেখে পরিষেবা দিয়েছেন চিকিৎসা ক্ষেত্রে। সামান্য কয়েক টাকার বিনিময়ে রোগী দেখেন তিনি। আবার কারোর কারোর কাছ থেকে ফি নেন না। ফিরিয়ে দেন। তিনি জানেন কার নূন্যতম ফিটুকুও দেওয়ার ক্ষমতা নেই।
গরিব শ্রেণীর কোন মানুষের কোন রোগ বা অসুখ হলে তাদেরকে ওষুধও তিনি নিজে থেকেই সরবরাহ করেন।করোনার সময় হোক কিংবা অন্যান্য সময় যেকোনও সময় দূর-দূরান্ত থেকে রোগী হাজির হয়েছেন যোগেন বেরার কাছে। শুধু চিকিৎসক বলে নয় সামাজিক কাজেও সব সময় এগিয়ে থাকেন সদা উৎসাহী যোগেন বেরা। আবার লেখালেখির কাজও করেন। বেশ কয়েকটি গল্পের বইও আছে। এ বয়সে এসেও তার কোন বিরাম নেই। প্রায় ৪০ বছর ধরে তিনি চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে যুক্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: দেরিতে এল বর্ষা, ধান থেকে সবজি অধিক ফলন পেতে কী করতে হবে? জানালেন কৃষি বিজ্ঞানী
১৯৮০ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমাজ কল্যাণ দপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও জনসংযোগ বিভাগের আধিকারিক হয়ে বেলদা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তার আসা। এরপরই ডেবরা, কেশিয়াড়ি-সহ একাধিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিজের দায়িত্ব সামলেছেন। তবে এখন তিনি হাড়ের অর্থাৎ অর্থোপেডিক চিকিৎসাই বেশি করেন।যেকোনো সময় যেকোনো রোগেই তিনি ত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়েছেন সকলের কাছে।
আরও পড়ুন: ‘যে হাতে গুনবেন সে হাতে তৃণমূলে ভোট দেবেন!’ হুল দিবসে কী গুনে নিতে বললেন শতাব্দী রায়
চিকিৎসা করাতে এসেই খুশি রোগী এবং তার পরিজনেরা। কেননা তিনি নাকি গরীবের ভগবান, ত্রাতা। সাধারণের মুখে এমন কথা শুনে আপাতত চিকিৎসক জানান,” আমি রোগীদের ভালোবাসি। চিকিৎসা ধর্ম পালন করি। তারাও হয়ত বেশি ভালবেসে ফেলেছেন।” চিকিৎসক দিবসে চর্চার কেন্দ্র এই চিকিৎসক।