কিন্তু এই সেতু দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ। বহুবার এই নিয়ে অভিযোগ করেছেন পথচলতি মানুষ সহ স্থানীয় মানুষজন। বছর দুয়েক আগে এ বীরেন্দ্র সেতুর বেশ কিছু অংশ ভেঙে পড়েছিল। সেই সময় তড়িঘড়ি সমস্ত যানবাহন বন্ধ করে মেরামতের নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলার জেলাশাসক ডাঃ রেশমি কমল। তিনি এ-ও বলেছিলেন যে নতুন করে একটি ব্রিজের ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে যা খুব দ্রুত তৈরি করা হবে।যদিও পরবর্তীকালে তা গড়ে তোলা হয়নি। কেবল মাত্র জোড়াতাপ্পি দিয়ে এই সমস্যা এড়িয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। যদিও এরপর জেলা শাসক বদলি হয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ এবার মাও অধ্যুষিত বেলপাহাড়ি থানায় চালু হল মহিলা পুলিশের টিম "উইনার্স"
জেলার জেলা শাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন এ আয়েশা রানি। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার সপ্তাহখানেক এর মধ্যেই ফাটল ধরল বীরেন্দ্র শাসমল সেতুতে সম্প্রতি চলাফেরা করতে গিয়ে অস্বস্তি এবং আশঙ্কা অনুভব করেন পথচলতি মানুষ সহ ট্রাক ড্রাইভাররা। তারা বিষয়টি জানালে দ্রুত নড়েচড়ে বসে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। রাতেই সেতুর উপর ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। এরপরই বৃহস্পতিবার সকালবেলায় তড়িঘড়ি সেতু পরিদর্শনে আসেন একদল চিফ ইঞ্জিনিয়ার।
আরও পড়ুনঃ পয়েন্টসম্যানের দক্ষতায় বাঁচলেন বৃদ্ধ! পুরস্কৃত করার ভাবনা চিন্তা রেলের
এই দলে ছিলেন জেলার প্রশাসনিক আধিকারিক, সেচ দপ্তরের লোকজন, কলকাতার প্রতিনিধি, জাতীয় সড়কের অথরিটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। প্রশাসনের আধিকারিকরা এই সেতু ঘুরে দেখেন। পরিদর্শন করে তারা আশ্বাস জানান খুব দ্রুত এই সেতু সারিয়ে তোলা হবে, এরই পাশাপাশি চট জলদি একটি নতুন সেতু তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে সেতুর অবস্থা খারাপ থাকায় ভারি যানবাহন গুলিকে ব্রীজের উপর দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মূলত ৮ টনের বেশি ভারী যানবাহনকে শালবনীর গোদপিয়াশাল থেকে আনন্দপুরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের তরফে।
Partha Mukherjee