আরও পড়ুন: হঠাৎ ভোট ঘোষণায় হিমশিম খাচ্ছেন পতাকা তৈরির কারিগররা
তরমুজ চাষের ক্ষেত্রে বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি মাদা তৈরি করে বীজ বসাতে হয়। চার হাত অন্তর তৈরি করতে হয় মাদি। প্রতি মাদাতে ৬ টি করে বীজ পোঁতা হয়। বীজ লাগানোর এক মাসের মধ্যেই ফলন শুরু হয়। বীজ মাটিতে বসানোর আগে খড় বিছিয়ে দিলে ফলনে সুবিধা হয়। এতে তরমুজের গায়ে মাটির দাগ লাগে না। সামান্য রাসায়নিক সার এবং পরিমাণ মতো জৈব সার দিয়ে তৈরি করতে হয় তরমুজ চাষের মাটি।
advertisement
ধানের বদলে তরমুজ চাষের এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে গোপাল দাস বলেন, আড়াই বিঘা জমিতে তরমুজ ফলাতে ২২৫ গ্রাম বীজ লেগেছে। সবমিলিয়ে এক বিঘা জমিতে তরমুজ চাষে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। শ্রাবণ মাস থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৫ কুইন্টাল তরমুজ পাচ্ছেন তিনি।
বর্ষার সময়ে ফলন ওঠায় ভালো দাম পান চাষিরা। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ ওড়িশাতেও তরমুজ বিক্রি হয়। প্রায় এক বিঘা জমিতে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা লাভ থাকে। গোপালবাবুর আশা আগামী দিনে তাঁর এলাকার আরও বেশি সংখ্যক কৃষক তরমুজ চাষের দিকে ঝুঁকবেন।
রঞ্জন চন্দ