জানা গিয়েছে, আসানসোলে বসবাস করা বিজয়ের রাউত ও তার পরিবারের দেহ উদ্ধার রয়েছে পরিত্যক্ত খাদান থেকে। বিজয় বাবু বিদ্যুৎ দফতরের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সপরিবারে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। চলতি মাসের ১০ তারিখ বেরিয়েছিলেন বাড়ি থেকে ঘুরতে যাওয়ার নাম করে। তার পাঁচ দিন পরে পরিবারের সকল সদস্যদের মৃতদেহ পরিত্যক্ত পাথর খাদানে ভাসতে দেখা যায়। যে ঘটনা জেনে হতবাক হয়ে গিয়েছেন বিজয় বাবুর আত্মীয়, প্রতিবেশী এবং পরিচিত সকলেই।
advertisement
আরও পড়ুন: অজয় নদীতে প্রবাহিত হয়েছিলেন দেবী গঙ্গা! জানুন মকর সংক্রান্তির ইতিহাস
প্রতিবেশীরা সকলে এই জানিয়েছেন, বিজয় বাবুর পরিবারে কোনও অশান্তি ছিল না। সকলেই সুখে বসবাস করতেন। বিজয় বাবু আদতে বিহারের বাসিন্দা। থাকতেন আসানসোলে বাড়ি ভাড়া নিয়ে। পরিবারও সঙ্গে থাকত তার। বিদ্যুৎ দফতরের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। গত ১০ জানুয়ারি তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ঘুরতে যাওয়ার নাম করে। তার পাঁচ দিন পর পরিবারের সকল সদস্যদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আসানসোলের কাল্লা এলাকায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পরিত্যক্ত একটি পাথর খাদান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দেহগুলি।
আরও পড়ুন: পানাগড় সেনা ছাউনিতে পালিত হল আর্মড ফোর্সেস ভেটারেন্স ডে
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে উদ্ধার হওয়া সকল দেহগুলির নাম এবং পরিচয়। আসানসোল উত্তর থানার কাল্লা ছাতা পাথর এলাকায় পরিত্যক্ত পাথর খাদান থেকে উদ্ধার হয়েছে চারজনের দেহ। মৃতদের নাম বিজয় রাউত, মিঠু রাউত, তাদের ১১ বছরের ছেলে কৃষ্ণা রাউত এবং দু'বছরের লাডো রাউত। আসানসোলের লাল বাংলোর বাসিন্দা তারা। জানা গিয়েছে ১০ জানুয়ারি রাত ১১ টার সময় বাড়ি থেকে তারা বেরিয়েছিল। পাঁচদিন পর গত রবিবার সন্ধ্যায় পরিত্যক্ত পাথর খাদান থেকে চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
Nayan Ghosh