ভারতবর্ষ তথা বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে গণতন্ত্রের নামে অভিজাততন্ত্রের প্রবণতা নিয়েও সতর্ক করেন। তাঁর বক্তব্য শ্রোতৃমনে গভীর ছাপ ফেলে। এই সভার সভামুখ্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপচার্য অধ্যাপক শিবাজীপ্রতিম বসু। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘অনুষ্টুপ’ পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক অনিল আচার্য। ছিলেন বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যক্ষ (ডিন) অধ্যাপক সত্যজিৎ সাহা, কলা ও বাণিজ্য বিভাগের অধ্যক্ষ (ডিন) অধ্যাপক তপন কুমার দে, নিবন্ধক ড. জয়ন্ত কিশোর নন্দী প্রমুখ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অপরাধ দমনের পাশাপাশি এবার বিপণনেও পুলিশ!
ভারত সহ বর্তমান বিশ্বে গণতন্ত্রের 'সংকট' এর কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "গণতন্ত্র মানে জনগণের উপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া নয়!" বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চ থেকে স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, "বিদ্যাসাগর তাঁর জীবনাচরণে ছিলেন একজন খাঁটি ভারতীয়। অথচ, পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত মধুসূদন দত্তের অসহায় অবস্থায় তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁকে উৎসাহিত করেছেন। নারী শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষার ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। আবার, শেষ জীবনে কারমাটারে (বিহারের), আদিবাসী সন্তানদের সঙ্গে থেকে তাঁদের মধ্যে শিক্ষার আলো বিকশিত করার চেষ্টা করেছেন।"
আরও পড়ুনঃ কেশপুরের বিকলচকের মানুষ পাচ্ছেন না ১০২ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা
বিবিধের মাঝে 'মিলন-মহান' ভারতবর্ষের রূপরেখা অঙ্কন করতে গিয়ে তিনি রবি ঠাকুরকে স্মরণ করে বলেন, "সকল দ্বন্দ্ব-বিরোধ-মাঝে জাগ্রত যে ভালো সেই তো তোমার ভালো।" উপাচার্য অধ্যাপক শিবাজী প্রতিম বসু বলেন, "বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক অধ্যাপক অরিন্দম চক্রবর্তী তাঁর মনোগ্রাহী বক্তৃতার মধ্য দিয়ে এক আদর্শ গণতন্ত্রের রূপরেখা দিলেন।"
Partha Mukherjee