TRENDING:

Paschim Medinipur News: কোন কাজ হয়নি, তাও ঠিকাদারকে দেওয়া হয়েছে অর্থ! ফের দুর্নীতির গন্ধ

Last Updated:

প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ করে গ্রামের মানুষকে জল দেবার প্রকল্প হয়েছিল গোয়ালতোড়ে কেশিয়া গ্রামে। কাগজে কলমে কাজ হয়ে গিয়েছে, ঠিকাদার তার প্রাপ্ত পারিশ্রমিক পেয়ে গিয়েছেন কাগজে-কলমে গ্রামের লোকজন ওই প্রকল্পের জল ব্যবহার করছেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#পশ্চিম মেদিনীপুর : প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ করে গ্রামের মানুষকে জল দেবার প্রকল্প হয়েছিল গোয়ালতোড়ে কেশিয়া গ্রামে। কাগজে কলমে কাজ হয়ে গিয়েছে, ঠিকাদার তার প্রাপ্ত পারিশ্রমিক পেয়ে গিয়েছেন কাগজে-কলমে গ্রামের লোকজন ওই প্রকল্পের জল ব্যবহার করছেন। অথচ সারা গ্রাম তন্ন তন্ন করে খোঁজার পরেও ওই প্রকল্পে তৈরি জলের কল খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি গোয়ালতোড় থানার অন্তর্গত মাকলি গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশিয়া গ্রামের।
advertisement

প্রসঙ্গত মাকলী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কেশিয়া গ্রামে একটি জলের সাবমারসিবল করে গ্রামের মানুষকে জলের পরিষেবা দেওয়ার প্রকল্প হয়েছিল। প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ করে এই প্রকল্প করা হয়েছিল। তবে এই প্রকল্পের দরুণ সমস্ত টাকা ঠিকাদার সংস্থা পাওয়া সত্ত্বেও প্রকল্পের রূপায়ণ এখনও পর্যন্ত হয়নি। এখন প্রশ্ন কীভাবে প্রকল্প না হওয়া সত্বেও সরকারের ভান্ডার থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ ঠিকাদার পেয়ে গেল।

advertisement

গ্রামের মানুষের অভিযোগ, ওই গ্রামে গিয়ে কোথাও ওই জল প্রকল্পের কোনও রকম কল নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কোনও রকম জলের প্রকল্পই এই গ্রামে তৈরি হয়নি। এখনও পর্যন্ত এই গ্রামে পানীয় জলের অভাব রয়েছে, স্নানের জল অন্যান্য কাজের জন্য যে প্রয়োজনীয় জল সেগুলি বহুদূর থেকে মাথায় করে পুকুর থেকে আনতে হয়। অথচ কাগজে-কলমে ওই গ্রামে সরকারি প্রকল্প অনুযায়ী সাবমারসিবল বসানো হয়েছে। এ বিষয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষদের প্রশ্ন করলে তারা বলেন কোনও জলের প্রকল্পই তাদের গ্রামে হয়নি।

advertisement

আরও পড়ুনঃ মেদিনীপুরে 'বাংলা মোদের গর্ব' মেলায় হস্তশিল্পীদের তৈরি নানা সামগ্রী

View More

স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না আমার আমলে হয়নি আমি বলতে পারব না যা বলার আমাদের অফিসের সেক্রেটারি বলবেন। মাকলি গ্রাম পঞ্চায়েতের সেক্রেটারির সঙ্গে দেখা করতে চাইলে কোনোভাবেই তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করতে চাননি তার মতামত জানাতে চাননি। মাকলী গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক স্পষ্ট ভাষায় জানান যে জল প্রকল্পের কথা বলা হচ্ছে তার জন্য নিয়ম মেনে টেন্ডার করা হয়নি এবং এই কাজের টাকা তুলে নেওয়া হলেও কাজ হয়নি।

advertisement

আরও পড়ুনঃ ধুলোর উপর পিচ! রাস্তা তৈরি নিয়ে ক্ষুব্ধ চন্দ্রকোনা টাউনের পাইকপাড়ার গ্রামবাসীরা

সম্পূর্ণ বেআইনীভাবেই সরকারের কোষাগার থেকে এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে তার অভিযোগ। গোয়ালতোড় দু নম্বর ব্লকের বিডিও বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে। দোষীরা শাস্তি পাবে। তবে প্রকল্প বাস্তবের রূপায়িত না করে কীভাবে সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ বরাদ্দ হল সেটাই এখন প্রশ্নের মুখে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লক্ষ্মী পুজোয় লক্ষ্মীলাভ কি তবে অধরা! বড় আর্থিক ধাক্কার আশঙ্কা
আরও দেখুন

Partha Mukherjee

বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম মেদিনীপুর/
Paschim Medinipur News: কোন কাজ হয়নি, তাও ঠিকাদারকে দেওয়া হয়েছে অর্থ! ফের দুর্নীতির গন্ধ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল