বাইরে মন্দিরের দালান থাকলেও পুরানো বটগাছের কোটরে অবস্থান শিবলিঙ্গের। এ যেন পরিচিত মন্দিরের অন্য ছবি। এখানেই প্রায় দেড়শো বছর ধরে পূজিত হচ্ছেন মহাদেব। পারিবারিক সমস্যা থেকে নানা মনস্কামনা পূরণের আশা নিয়ে আসেন দেবাদিদেব মহাদেবের কাছে ভক্তরা। পুজো করেন গাছের কোটরের ভেতরে গিয়ে। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের ছাতারকোল গ্রামে অবস্থিত এই প্রাচীন শিবালয় মন্দিরটি।
advertisement
আরও পড়ুন : সবজি নয়! কাঁচালঙ্কা তাহলে কী? সঠিক উত্তরের ঝাঁঝে চমকে যাবেন আপনিও
দেড়শো বছরের এই প্রাচীন ছাতারকোল শিবালয় মন্দির। প্রতিদিন নিত্য পুজো হলেও বছরের চৈত্র মাসের নির্দিষ্ট দিনে বড়পুজো হয় এখানে। হয় গাজন উৎসব। বিভিন্ন জায়গায় বড় মন্দির থাকলেও এখানে নেই সুউচ্চ মন্দির। ঠাকুরদালান থাকলেও সেটি রয়েছে গাছের কাণ্ড ছাড়িয়ে। তবে আসল মন্দির বা দেবস্থানটি রয়েছে বটগাছের কোটরে। বাইরে দালান থাকলেও মন্দিরের উপর নেই কোনও ছাউনি। মনস্কামনা পূরণের পর এসে পুজোও দেন অনেকে।
প্রসঙ্গত জঙ্গলাকীর্ণ ছিল গ্রামীণ এলাকার এই স্থান। দেড়শো বছর আগেই প্রতিষ্ঠা পান মহাদেব এখানে, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। এর পর থেকেই রীতিনীতি মেনে এখানে হয় শিবের উপাসনা। তবে গ্রামীণ এলাকার এই মন্দিরে এলে মন জুড়োবে আপনার। একাত্ম হতে পারবেন আধ্যাত্মিকতা এবং প্রকৃতির সঙ্গে।