কল্যাণী ঘোষ খড়গপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। প্রদীপ সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের যে ২১ জন কাউন্সিলর বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন তাঁদের নেতৃত্ব ছিলেন তিনি। গত ডিসেম্বর মাসে এই কল্যাণী ঘোষ, প্রবীর ঘোষদের নেতৃত্বে খড়গপুরের তৎকালীন পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন তৃণমূলেরই ২১ জন (২৫ জনের মধ্যে) কাউন্সিলর। ২০২২ এর পুর ভোটে ৩৫ আসন বিশিষ্ট খড়গপুর পুরসভায় তৃণমূল ২০ টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়। পরে সিপিআই, কংগ্রেস ও নির্দল মিলিয়ে আরও ৫ জন কাউন্সিলর তাদের দলে যোগ দেন। সেই সময় শাসকদলের মোট ২৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২১ জনই বিদ্রোহ তৎকালীন পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: দুই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিক্ষোভে বন্ধ হয়ে গেল স্কুলের মিড ডে মিলের রান্না!
এরপরই দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খড়গপুরের পুরপ্রধান পদ থেকে প্রদীপ সরকারকে ইস্তফা দিতে বলেন। এই নির্দেশ নিয়ে সাময়িক টালবাহানা শেষে গত ২১ ডিসেম্বর ইস্তফা দিয়েছিলেন প্রদীপবাবু। তৃণমূল সেই সময় জানিয়েছিল প্রদীপ সরকারকে দলের সাংগঠনিক কাজে কাজে লাগানো হবে। খড়গপুরের পরবর্তী পুরপ্রধান কে হবেন তা নিয়ে শাসকদলের কাউন্সিলরদের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। অবশেষে প্রায় চার মাস পর খড়গপুরের নতুন পুরপ্রধান বেছে নিল শাসক দল।
রঞ্জন চন্দ