অন্যদিকে, ১১ নং ওয়ার্ডের চন্ডীপুর এলাকায় ঝড়ের দাপটে পড়ে যায় বড় বড় গাছ। উপড়ে যায় বিদ্যুতের খুঁটি। সেই খুঁটি থেকে বিপদজনকভাবে চলছে ইলেকট্রিক তার। প্রায় ১২-১৩ ঘন্টা হতে চললো বিদ্যুৎহীন ওই এলাকা। কাউন্সিলর পারমিতা ঘোষ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সরজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখে গেছেন। উদ্ধার কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে। অপরদিকে, শালুয়া এলাকায় জামাইয়ের বাড়িতে এসে শুয়েছিলেন এক বৃদ্ধা! হঠাৎ বাড়ির ওপর ভেঙ্গে পড়ে বিশাল গাছ। অল্পের জন্য প্রাণ রক্ষা হয় ওই বৃদ্ধার!
advertisement
আরও পড়ুনঃ এখনও রাস্তা তৈরি না হওয়ার প্রতিবাদে পোস্টার দাসপুর এলাকায়
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিনিধি রওশন লামা জানিয়েছেন, প্রকাণ্ড ওই গাছটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল অনেক আগেই। বনদপ্তরকে জানানো হয়েছিল। বিষয়টি গুরুত্ব দেননি ডি এফ ও। এছাড়াও, গোটা খড়্গপুর শহর জুড়েই ভয়ানক ঝড়ের চিহ্ন ছড়িয়ে আছে ইতিউতি! অন্যদিকে মেদিনীপুর শহরেও শুক্রবার রাতের প্রবল ঝড়বৃষ্টির জেরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। মেদিনীপুর শহর লাগোয়া ধর্মায় ৬০ নং জাতীয় সড়কের ওপর ভেঙে পড়ে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি এবং রাস্তায় লাগানো তোরণ।
আরও পড়ুনঃ কংসাবতী নদী পারাপারের ভরসা শুধু একটি নৌকা! কেন এমন অবস্থা?
শহরের নান্নুরচক, কলেজ রোড, কেরানীতলায় রাস্তায় গাছ পড়ে ব্যাহত হয় যান চলাচল। শহর লাগোয়া কেরানিচটি, ফড়িংডাঙায় রাস্তার উপরে গাছ ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকঘণ্টা বন্ধ হয়ে যায় গাড়ি যাতায়াত। মেদিনীপুর সার্কিট হাউসের ভেতর গাছ ভেঙে পড়লে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাঘাত ঘটে। মেদিনীপুর - ঝাড়গ্রাম রাস্তার গোপগড়ের কাছে রাস্তার উপর বিশালাকার বট গাছ ভেঙে পড়লে যান চলাচল সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়।
তবে মেদিনীপুর শহর ও শহর লাগোয়া এলাকায় শুক্রবার রাতেই ঝড়বৃষ্টির মধ্যেও রাস্তায় নেমেছিল পুলিশ ও পৌর প্রশাসন। রাতেই তৎপরতার সঙ্গে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ভেঙে পড়া গাছ কেটে সরিয়ে রাস্তা পরিস্কার করে দেওয়া হয় পুরসভার তরফে। অন্যদিকে কেশপুর ব্লক জুড়ে প্রায় ১৪/১৫ টি মাটির বাড়ির ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। গড়বেতা, শালবনী ব্লকেও বেশকিছু ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতির খবর রয়েছে।
Partha Mukherjee